নাগাড়ে পতন রোধকরে পর পর চার দিন ভারতীয় বাজারে চড়ল সোনা-রুপোর দাম। যদিও অগস্টের দামের তুলনায় প্রতি ১০ গ্রামে ৭,০০০ কম যাচ্ছে সোনার দর।
শুক্রবার এমসিএক্স সূচকে ০.২% বৃদ্ধির ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৪৯,৩৮০ টাকা। সূচকে ০.২% উত্থান দেখা গিয়েছে রুপোরও, যার জেরে প্রতি কেজির দাম দাঁড়িয়েছে ৬৩,৭৬৭ টাকা।
উল্লেখ্য, গতকাল প্রতি ১০ গ্রামের হিসেবে সোনার দাম বেড়েছিল ৩৫০ টাকা। পাশাপাশি, রুপোর দামও প্রতি কেজিতে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল।গত চার দিনে প্রতি ১০ গ্রামসোনার দাম প্রায় ১,৫০০ টাকা বেড়েছে।
এ দিন কোটাক সিকিউরিটিজ-এর তরফে বলা হয়েছে, আউন্সপ্রতি ১,৭৮০ ডলারের কাছাকাছি নিম্নতম পৌঁছানোর পরে পতন সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সোনার দাম। তবে স্থিতিশীল দাম বৃদ্ধির জন্য আরও অপেক্ষার প্রয়োজন। মূলত মার্কিন ডলারের দাম পড়বার প্রভাবেই সোনার দামে এই উত্থান দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি যার জেরে বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তার ছায়াও প্রভাব ফেলছে সোনার দাম বৃদ্ধিতে।
আন্তর্জাতিক বাজারে এ দিন মার্কিন অর্থনীতিতে আরও উদার মার্কিন অর্থনীতির আশায় সোনার দামে সামান্য উত্থান দেখা দিয়েছে। স্পট গোল্ড সূচকে ০.১% বৃদ্ধির জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৪১.৯০ ডলার। এর ফলে চলতি সপ্তাহে সোনার দর মোট বৃদ্ধি পেল ৩ শতাংশ। পাশাপাশি, এ দিন সূচকে রুপোর দরে কোনও হেরফের না ঘটায় প্রতি আউন্সের দাম যাচ্ছে ২৪.০৭ ডলার।
অন্য দিকে, ইটিএফ-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সোনায় বিনিয়োগে বিশেষ উৎসাহ দেখা দেয়নি লগ্নিকারীদের মধ্যে। এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্টে মজুত সোনার পরিমাণে ০.১% পতনের ফলে বৃহস্পতিবার মোট মজুত সোনার পরিমাণ দাঁড়ায় ১,১৮৯.৮২ টন।
কোটাক সিকিউরিটিজ-এর দাবি, গত কয়েক দিনে ক্রমাগত পতনের পরে সাম্প্রতিক সোনার দামে উত্থানের ফলে বাজারে কিছুটা স্বস্তি দেখাদিয়েছে। তবে এই বৃদ্ধির হার বজায় থাকতে গেলে ইটিএফ থেকে সোনা হ্রাস পাওয়ার হার কমতে হবে এবং অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য আরও উদার পরিকল্পনা করতে হবে বিশ্বের অগ্রণী রাষ্ট্রগুলিকে।