টানা দু'দিনে ১,০০০ হাজার টাকা পতনের পর বৃহস্পতিবার বেড়েছিল সোনার দাম। কিন্তু শুক্রবার ভারতীয় বাজারে আবার একধাক্কায় অনেকটা পড়ল হলুদ ধাতুর দর। শুক্রবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম (গোল্ড ফিউচার্স) ০.৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬,৩৬৯ টাকা।
সোনার মতো শুক্রবার রুপোর দামও পড়েছে। এমসিএক্স সূচকে প্রতি কেজি রুপোর দাম (সিলভার ফিউচার্স) ০.৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮,৪০২ টাকা। গত সেশনে রুপোর দাম ০.৬৪ শতাংশ বেড়েছিল। শুরুর দিকে ঘরোয়া ইক্যুইটি বাজার মোটামুটি স্থায়ী ছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে অবশ্য বেড়েছে সোনার দাম। আউন্স প্রতি সোনার দাম (স্পট গোল্ড) ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭১৪.৭৮ ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল মার্কিন ডলার এবং বিশ্বের ইক্যুইটি বাজারের সাম্প্রতিক ঘটনার উপর ভর করে বিশ্ব বাজারে হলুদ ধাতুর দাম বেড়েছে। তবে টানা তিন সপ্তাহ সোনার দাম নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। চলতি সপ্তাহে ডলারের সূতক ১.৫ শতাংশ বেড়েছে। ফলে অন্য মুদ্রায় লেনদেনকারী গ্রাহকদের কাছে আরও সস্তা হয়েছে সোনা।
আপাতত আমেরিকার নন-ফার্ম বেতন তালিকার পরিসংখ্যানের অপেক্ষায় রয়েছেন সোনার কারবারিরা। যা শুক্রবার প্রকাশিত হবে। অন্যদিকে, আর্থিক প্যাকেজের বরাদ্দ আশাতীত বাড়িয়েছে ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
বিষয়টি নিয়ে জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের কমোডিটি রিসার্চের প্রধান হরিশ ভি জানান, দুর্বল ডলার এবং আমেরিকা-চিনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার ফলে সোনার চাহিদা বাড়ছে। তবে দ্রুত অর্থনীতির চাকা ঘোরার আশায় এবং শুক্রবার আমেরিকার কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশের কারণে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা সতর্কভাবে পা ফেলছেন।