সপ্তাহের শুরুতে, সোমবার ভারতের বাজারে সোনার দর পড়ল। এমসিএক্স সূচকে এ দিন ০.০২% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৪৯,১৩১ টাকা।
সোনার দাম নিম্নমুখী থাকলেও এ দিন সূচকে ০.৪% উঠেছে রুপোর দর, যার জেরে প্রতি কেজির দাম যাচ্ছে ৬৬,৮৮৫ টাকা।
গত শুক্রবার সূচকে সোনার দর পড়েছিল ০.০৫% এবং রুপোর দরে ০.৯% পতন দেখা দিয়েছিল। তবে আমেরিকায় আরও উদার আর্থিক সংস্কারের আশায় সোনার দরে বড়সড় পতন ঘটার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে জিওজিৎ ফাইন্যানশিয়াল। তাদের মতে, প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৯,৮০০ টাকার নীচে থাকলে সোনায় বিনিয়োগের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মার্কিন সেনেটের সদস্যরা শীঘ্রই উদার আর্থিক সংস্কার ঘোষণা করবেন, এই আশায় সোনার দামে উত্থান দেখা দিয়েছে। স্পট গোল্ড সূচকে ০.৩% বৃদ্ধির ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৫৮.৫৭ ডলার। তবে গত শুক্রবার সূচকে ০.৯% পতন হয়েছিল সোনার দরে।
অন্য দিকে, শুক্রবার বিশ্বের বৃহত্তম ইটিএফ এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্টে মোট হোল্ডিং ০.০৭% কমার ফলে দাঁড়ায় ১.১৭৩ টন।
এ দিন আন্তর্জাতিক সূচকে ০.৯% উত্থান হওয়ায় প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৫.৬১ ডলার।
চিন ও সিঙ্গাপুরের মতো এশিয়ার বিভিন্ন বাজারে সোনার চাহিদা গত সপ্তাহ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার অন্যতম কারণ আসন্ন চিনা নববর্ষ। ভারতে ডিলাররা আউন্সপ্রতি সোনার দামে এক ডলার প্রিমিয়াম যোগ করছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ০.৫ ডলার। মনে রাখা দরকার, এ দেশে সোনার দামের মধ্যে ধরা হয় ১২.৫% আমদানি শুল্ক এবং ৩% জিএসটি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের অগস্ট মাসে রেকর্ড সৃষ্টিকারী দরের তুলনায় প্রতি ১০ গ্রামে ৭,০০০ টাকা কম যাচ্ছে সোনার দাম।
কোটাক সিকিউরিটিজ-এর তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, ‘জো বাইডেনের আমলে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা, যার ফলে আপাতত সোনার দামে উত্থান-পতন দেখা দেওয়াই স্বাভাবিক। তবে আমেরিকায় উদার অর্থনৈতিক সংস্কারের আশা লগ্নিকারীদের মনে উৎসাহের সঞ্চার করেছে।’