চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সোনার দামে ভালোমতো হেরফের হল। হলুদ ধাতুর দর চার মাসে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর পর কিছুটা নেমেছে। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম পৌঁছে গিয়েছিল ৪৮,৮৩০ টাকায়। যা ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ ছিল। শেষপর্যন্ত শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় ১০ গ্রাম সোনার দাম ঠেকেছে ৪৮,৪৩৯ টাকায়।
জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের হরিশ ভি জানিয়েছেন, এমসিএক্স সূচকে ৪৬,৯২০ টাকায় সহায়তা পাচ্ছে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতু। আর বাধা পাচ্ছে ৪৯,৬০০ টাকায়। আপাতত রেকর্ড দরের (গত বছর অগস্টে ১০ গ্রামের দাম ৫৬,২০০ টাকা) তুলনায় প্রায় ৭,৭০০ টাকার মতো কম আছে হলুদ ধাতু।
সোনার মতো গত সপ্তাহে রুপোর দামেও হেরফের হয়েছে। গত মঙ্গলবার এক কেজি রুপোর দাম ৭৪,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় সেই দর ৭১,০০০ টাকায় নেমে এসেছে।
এমনিতে রিলগেরে ব্রোকিং লিমিটেডের সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছেন, মধ্যবর্তী সময় এক কেজি রুপোর দাম ৭৫,৫০০-৭৬,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় বা বছর শেষের মধ্যে তা ৮৫,০০০ টাকা ছুঁয়ে যেতে পারে বলে ধারণা সুগন্ধার। সোনার ক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, মধ্যবর্তী সময় ১০ গ্রাম সোনার দর ৫২,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। আর দীর্ঘকালীন সময় সোনার দাম পৌঁছে যেতে পারে ৫৫,০০০-৬০,০০০ টাকায়।
বিশ্ব বাজারে অবশ্য সোনার দাম অটল আছে। শুক্রবার এক আউন্স সোনার দাম ১,৮৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডলার সূচক ০.২৫ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তাও সোনার দামে প্রভাব ফেলেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লাগাতার যদি দাম ১,৮৮০ ডলারের উপরে থাকে, তাহলে সোনার ইতিবাচক গতিপ্রকৃতি জারি থাকবে। একমাত্র এক আউন্সের দাম ১,৭৯৮ ডলারের নীচে নেমে গেলে সোনার দাম কিছুটা পড়তে পারে।