দিনকয়েক আগেই প্রায় এক বছরের মধ্যে সবথেকে সস্তা হয়ে গিয়েছিল সোনা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সপ্তাহের শেষভাগে কিছুটা বেড়েছে সোনার দাম। বৃহস্পতিবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫,৪০৪ টাকা। আর এক কেজি রুপোর দাম ৬৫,০৪০ টাকা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে ১০ গ্রাম সোনার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। অথচ সপ্তাহের শুরুটা ভালো হয়নি। বরং সপ্তাহের গোড়ার দিকে ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়িয়েছিল ৪৪,১০০ টাকা। তার ফলে গত বছর এপ্রিলের পর সোনার দাম সবথেকে নীচে নেমে গিয়েছিল। স্বর্ণব্যবসায়ীদের আশা, হলুদ ধাতুর দর যদি এরকম নীচের দিকেই থাকে, তাহলে ভারতীয় বাজারে খুচরো সোনার ক্রয়ের প্রবণতা বাড়বে। বাজারে চাহিদা বাড়বে সোনার। কিন্তু ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস আক্রান্তের জেরে সেই প্রবণতা কিছুটা ধাক্কা খেতে পারে। কমে যেতে পারে চাহিদা। ক্যাপিটালভায়ার তরফে জানানো হয়েছে, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৪,০০০-৪৪,২০০০ টাকার সহায়তা পাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই স্তরের থেকে দাম বেড়ে গিয়েছে। একধাক্কায় অনেকটা বৃদ্ধি পেলে অদূরে ভবিষ্যতে সোনার দর উচ্চস্তরে থাকতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ভারতীয় বাজারে ১০ গ্রামে সোনার দাম প্রায় ৫,০০০ টাকা। আর গত বছর অগস্টে রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকার ছুঁয়ে ফেলার পর থেকে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দর ১১,০০০ টাকা কমেছে। তারইমধ্যে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোনার দাম এবং আমদানি শুল্ক হ্রাস পাওয়ায় ভারতে হলুদ ধাতুর আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর মার্চের তুলনায় এবার মার্চে সোনার আমদানি বেড়েছে প্রায় ৪৭১ শতাংশ। এমনিতে এবারের বাজেটে সোনার আমদানি ১২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০.৭৫ শতাংশ করেছে কেন্দ্র।