পরপর দু'দিন ভারতে পড়ল সোনার দাম। শুক্রবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১১ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৯,৩৯৪ টাকা। আর এক কেজি রুপোর দাম ০.৭১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬,৮২১ টাকা।
গত সেশনে সোনার দাম ০.১৮ শতাংশ কমেছিল। তবে রুপোর দাম বেড়েছিল ০.৫ শতাংশ। জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসের তরফে জানানো হয়েছে, এমসিএক্স সূচকে ৪৭,৪০০ টাকায় সহায়তা পাচ্ছে ১০ গ্রাম সোনার দাম। বাধা পাচ্ছে ৫০,৬৮০ টাকায়।
বিশ্ব বাজারেও পড়েছে হলুদ ধাতুর দাম। এক আউন্স সোনার দাম ০.৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৮৬৩.৫৬ ডলার। তবে এক সপ্তাহে প্রায় দু'শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তেমন ছন্দপতন হয়নি সোনার। জিয়োজিৎ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসের রিসার্চের হরিশ ভি জানিয়েছেন, দুর্বল মার্কিন ডলারের সহায়তা পাচ্ছে সোনা। আমেরিকায় নয়া আর্থিক প্যাকেজের আশা এবং দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার ফলে সোনার চাহিদা বাড়ছে।
অন্যদিকে, আয় এবং বাড়তি আর্থিক প্যাকেজ ঘিরে যে আশা তৈরি হয়েছিল, তা করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে ধাক্কা খেয়েছে। তরা ফলে এশিয়ার ইক্যুইটি বাজার মূলত নিম্নমুখী থেকেছে। আরও আর্থিক প্যাকেজের পক্ষে নীতি-নির্ধারকরা ভোট দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সভাপতি ক্রিস্টিন লাগার্দে সতর্ক করে জানিয়েছেন যে ঝুঁকির মাত্রা আরও বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। তার ফলে ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। বিশ্বের বড় দেশগুলির থেকে যে তথ্য মিলেছে, তাতে স্পষ্ট যে আর্থিক বৃদ্ধির হার সর্বত্র একই ধরনের নয়।