দুটি সেশনে একধাক্কায় অনেকটা পতনের পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল সোনা। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৭,৯৪৭ টাকা। গত সেশনের ধাক্কা সামলে উর্ধ্বমুখী হয়েছে রুপোও। এক কেজি সিলভার ফিউচার্সের দাম ১.৫ শতাংশ বা ১,০০০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮,৫৫৭ টাকা।
এবারের বাজেটে সোনার আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার রেশ ধরে গত দুটি সেশনে ১০ গ্রাম সোনার দাম ১,৮০০ টাকা কমেছিল। অন্যদিকে লাগাতার বৃদ্ধির পর বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে গত সেশনে ভারতীয় বাজারে এক কেজি রুপোর দাম আট শতাংশ বা ৬,০০০ টাকা পড়েছিল।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে এইচডিএফসি সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, একদিন সোনা এবং রুপোর উপর ১২.৮৮ শতাংশ আমদানি শুল্ক ধার্য করা হত। সোমবার সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছেন যে তা কমিয়ে আদতে ১০.৭৫ শতাংশ (কৃষি পরিকাঠামো বাবদ ২.৫ শতাংশ সেস ধরে) করা হচ্ছে। অপরিশোধিত সোনার আমদানি শুল্ক ১২.২১ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১০.০৯ শতাংশ। আর অপরিশোধিত রুপোর ক্ষেত্রে তা ১১.৩৩ শতাংশ থেকে নেমে ৯.২১ শতাংশ হয়েছে। তবে পাথরের ক্ষেত্রে শুল্ক কিছুটা বেড়েছে। ব্রোকারেজের তরফে জানানো হয়েছে, পাথরের আমদানি শুল্ক সামান্য বাড়লেও একধাক্কায় সোনা এবং রুপোয় কমে যাওয়ায় সার্বিকভাবে গয়নার দাম অনেকটা পড়বে। যা দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে গয়না শিল্পের পক্ষে সহায়ক হবে।
ভারতীয় বাজারের মতো বিশ্ব বাজারেও বেড়েছে হলুদ ধাতুর দাম। মার্কিন ডলারের সৌজন্যে এক আউন্স সোনার দাম ০.৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮৪৪.৪৮ ডলার। একইভাবে উত্থানের সাক্ষী থেকেছে রুপোও। গত সেশনে প্রায় আট শতাংশ পতনের পর এক আউন্স রুপোর দাম হয়েছে ২৭.২৫ ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রচার কর্মসূচির সৌজন্য হুড়মুড়িয়ে বাড়ছিল রুপোর দাম। তবে সেই প্রভাব এখন অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।