সোমবার ভারতীয় বাজারে সামান্য বাড়ল সোনা এবং রুপোর দাম। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,১৭২ টাকা। অন্যদিকে, এক কিলোগ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দাম বেড়ে ৬১,৩৩৫ টাকায় ঠেকেছে।
গত সপ্তাহে শুক্রবারও সোনার দাম বেড়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি পরিসংখ্যানের জেরে বিশ্ব বাজার এবং ভারতীয় বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সোনা। ১৯৮২ সালের পর থেকে মার্কিন ক্রেতা সূচক সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। তার জেরে হলুদ ধাতুর দাম আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের আতঙ্ক। তবে তারইমধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের অবস্থানের কারণে দাম লাফিয়ে বাড়ছে না। বরং স্বল্পকালীন সময় বিশ্বের স্পট বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১,৮৬৫ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। সেখানে ভারতীয় বাজারে স্বল্পকালীন সময় ৪৯,৫০০ টাকার সর্বোচ্চসীমা ছুঁয়ে ফেলতে পারে হলুদ ধাতু।
ভারতে সোনার দামের ভবিষ্যত্
রেলিগ্রে ব্রোকিং লিমিটেডের কমোডিটি এবং কারেন্সি রিসার্চের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুগন্ধা সচদেব জানান, স্বল্পকালীন সময় বিশ্বের স্পট বাজার এবং ভারতের বাজারে সোনার ইতিবাচক প্রবণতা জারি থাকবে। তাই এই মুহূর্তে দাম কমলেই সোনা ক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একইসুরে আইআইএফএল সিকিউরিটিজের কমোডিটি অ্যান্ড রিসার্চের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অনুজ গুপ্তা জানিয়েছেন, বিশ্ব বাজারে এক আউন্স স্পট গোল্ড ১,৭৬০ ডলারে সমর্থন পাচ্ছে। সাম্প্রতিক বাধা পাবে ১,৮২০ ডলারে। ভারতীয় বাজারে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার ক্রয়ের স্তর ৪৮,১০০ টাকা থেকে ৪৭,৮০০ টাকার মতো থাকবে। সেটা অবশ্যই স্বল্পকালীন সময়।