মঙ্গলবারও ভারতে কমল সোনা এবং রুপোর দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬,৮৬০ টাকা। তার ফলে শেষ চারদিনে তিনবার পতনের সাক্ষী থেকেছে হলুদ ধাতু। তারইমধ্যে কমেছে রুপোর দামও। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম কমে ঠেকেছে ৬৩,১৫৫ টাকায়।
বিশ্ব বাজারেও আজ কমেছে সোনার দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৯১.১৬ ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন ডলার সূচক প্রায় দু'সপ্তাহের শীর্ষে স্থিতিশীল হওয়ার প্রভাব পড়েছে হলুদ ধাতুর উপর। আজই মার্কিন ক্রেতা সূচকের যে পরিসংখ্যান পেশ করা হবে, সেদিকে নজর আছে লগ্নিকারীদের। সেই পরিস্থিতিতে তাঁরাও সতর্কভাবে পা ফেলছেন। পাশাপাশি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের পদক্ষেপের দিকেও তাকিয়ে আছেন লগ্নিকারীরা। জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, যদি এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৭০ ডলারে সমর্থন পেতে থাকে, তাহলে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। কিন্তু সরাসরি ১,৭৭০ ডলারের নীচে নেমে গেলে পরিস্থিতি পালটে যাবে।
তারইমধ্যে অবিচল আছে রুপোর দাম। এক আউন্স রুপোর দাম ০.৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৬৫ ডলার। একইসঙ্গে দাম পড়েছে হিরেরও। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, মাঝারি মানের নেতিবাচক প্রভাব জারি থাকবে। উত্থান-পতনের সাক্ষী থাকবে ধাতু। এক আউন্সের দাম ২৪.৬ ডলারের সীমা পার করলে তবেই রুপো ঊর্ধ্বমুখী হবে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিশ্ব বাজারের সেই প্রভাব পড়েছে ভারতেও। এমনিতে গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর থেকে উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে সোনা। চলতি বছরও সেই প্রবণতা রয়েছে। সার্বিকভাবে গত বছরের রেকর্ড দরের থেকে ৯,৫০০ টাকার মতো কম আছে হলুদ ধাতুর দাম।