বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে ভারতেও দুর্বল ধারা বজায় থাকল সোনা এবং রুপোর। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪,৯১৭ টাকা। যা রেকর্ড দরের থেকে ১১,৫০০ টাকা কম। বড়সড় পতনের পরদিন অবশ্য রুপোর দাম অটল আছে। এক কেজি রুপোর দাম পড়ছে ৬৬,৯৫০ টাকা। গত সেশনে সোনার দাম ০.২ শতাংশ পড়েছিল। আর ১.০৯ শতাংশ পতনের সাক্ষী ছিল রুপো।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি সংক্রান্ত বৈঠকের ফলাফল সামনে আসার আগে সোনার দর অটল আছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম সামান্য পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৩০.৮২ ডলার। গত সেশনে অবশ্য এক আউন্স হলুদ ধাতুর দর ১,৭৪০.৯ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। যা গত দু'সুপ্তাহে সর্বোচ্চ ছিল। অন্যান্য দামী ধাতুও যথেষ্ট চাপের মধ্যে আছে। এক আউন্স রুপোর দাম ০.৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫.৭৭ ডলার। এশিয়ার শেয়ার বাজারেরও মূলত নিম্নমুখী প্রবণতা জারি আছে। অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় শক্তিশালী হয়েছে ডলার।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চলতি সপ্তাহের পরের দিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বৈঠকের দিকে নজর থাকবে সোনার লগ্নিকারীদের। আগামী বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেবে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পরদিন আর্থিক নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ব্যাঙ্ক অফ জাপান। কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, ১.৯ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের ফায়দা পেয়েছে সোনা। সার্বিকভাবে বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং করোনাভাইরাস টিকাকরণের ইতিবাচক পড়েছে হলুদ ধাতুর উপর। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রাখার জন্য এক আউন্স সোনাকে ১,৬৬০ ডলারের সহায়তার গণ্ডি পেরিয়ে যেতে হবে।