টানা পাঁচদিন পতনের পর ভারতীয় বাজারে কিছুটা স্থিতিশীল হল সোনার দাম। বৃহস্পতিবারের ভারতীয় বাজারে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৬,৪০৭ টাকা। এক কিলোগ্রামের রুপোর দামও ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৯,৫০০ টাকা দাঁড়িয়েছে।
গত পাঁচটি সেশনে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ২,০০০ টাকা কমে গিয়েছিল। তার ফলে প্রায় আট মাসের সর্বনিম্ন দামের স্তরের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল হলুদ ধাতুর দর। বিশ্ব বাজারেও একই ধারায় সোনার দাম কমে গিয়েছিল। গত সেশনে হলুদ ধাতুর দর দু'মাসের (৩০ নভেম্বর) সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছিল। বুধবার আউন্স প্রতি হলুদ ধাতুর দর ১,৭৬৯ ডলারে ঠেকেছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিশ্ব বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৮২.৬১ ডলার। অন্যান্য ধাতুর মধ্যে রুপোর দর অটল আছে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত বছর ২৫ শতাংশ উত্থানের সাক্ষী ছিল সোনার। যা এক দশকে সর্বাধিক উত্থান ছিল। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো, করোনাভাইরাস টিকার প্রয়োগ এবং আরও আর্থিক প্যাকেজের আশায় চলতি বছরের শুরু থেকে সোনার দাম ছ'শতাংশেরও বেশি পড়েছে। ভারতেও একইভাবে গত বছর সোনার দাম চড়চড়িয়ে বেড়েছিল। গত অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দর রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর থেকে সোনার দাম অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে। মোটামুটি একটা স্তরের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে হলুদ ধাতুর দর। আপাতত রেকর্ড দরের থেকে প্রায় ১০,০০০ টাকা কম আছে ১০ গ্রাম সোনার দাম। ক্যাপিটাভায়া ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইজারের ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড কমোডিটির লিড জানান, ৪৬,০০০ টাকা থেকে ৪৫,০০০ টাকার স্তরে মধ্যে সহায়তা পাচ্ছে এমসিএক্স সোনা।