সোমবার ভারতীয় বাজারে দুর্বল থাকল সোনা এবং রুপো। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম মোটের উপর ৪৮,০৭৬ টাকায় অবিচল আছে। যা গত বছরের অগস্টের রেকর্ড দর ৫৬,২০০ টাকার থেকে ৭,০০০ টাকার মতো কম। অন্যদিকে পতনের সাক্ষী থেকেছে রুপো। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৮,০০০ টাকা।
গত সেশনে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪০০ টাকা কমেছিল। শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় ভারতীয় বাজারে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,০০০ টাকার উপরে ছিল। সেদিনই বাজারে লেনদেনের সময় সোনার দাম ৪৮,৩৮৯ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল।
বিশ্ব বাজারেও সোনার দামের খুব বেশি হেরফের হয়নি। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮১২.৮৩ ডলার। গত শুক্রবার হলুদ ধাতুর দর প্রায় এক শতাংশের মতো পড়েছিল। তা সত্ত্বেও চলতি মাসে বেড়েছে সোনার দাম। টানা চারবার সপ্তাহিক উত্থানের সাক্ষী থেকেছে হলুদ ধাতু। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে কমেছে রুপো এবং হিরের দাম। এক আউন্স রুপোর দাম ০.২ শতাংশ কমে হয়েছে ২৫.৫ ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতির ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে চালু হওয়া বিধিনিষেধ এবং মার্কিন বন্ড ইয়েল্ডের সহায়তা পেয়েছে সোনা। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়ালের মন্তব্যও সহায়তা করেছে সোনাকে। মুদ্রাস্ফীতির হার ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলেও মার্কিন অর্থনীতিকে যে সহায়তা জোগাচ্ছে ফেডেরাল রিজার্ভ, তার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, দামের উপর যে চাপ বাড়ছে, তা সাময়িক একেবারে। সেই পরিস্থিতিতে লগ্নিকারীরা আর্থিক নীতির দিকে তাকিয়ে আছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।