ভারতীয় বাজারে ক্রমশ ৫০,০০০ টাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সোনা। মঙ্গলবারও বেড়েছে হলুদ ধাতুর দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম অগস্ট গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯,৪৬৯ টাকা। অন্যদিকে রুপোর উত্থান আরও বেশি। এক কেজি রুপোর দাম এক শতাংশ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭২,৫৭৫ টাকা।
গত সেশনে সোনার দাম ০.৪৫ শতাংশ বেড়েছিল। ০.৪২ শতাংশ উত্থানের সাক্ষী ছিল রুপো। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনা ৪৯,৩৬০ টাকায় বাধা পাচ্ছে। সমর্থন পাচ্ছে ৪৮,৪৫০ টাকায়। আর এমসিএক্স সূচকে এক কিলোগ্রাম রুপো ৭৪,২০০ টাকায় বাধা পাচ্ছে। সমর্থন পাচ্ছে ৭০,০৮০ টাকায়।
এমনিতে গত মার্চে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৪৪,০০০ টাকার কাছে নেমে গিয়েছিল। যা প্রায় এক বছরে সর্বোচ্চ ছিল। পরে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সোনার দাম অনেকটাই বেড়েছে। সেই উত্থানের জেরে সোনার দাম ক্রমশ ৫০,০০০ টাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও রেকর্ডের (গত বছর অগস্টে ১০ গ্রামের দাম ৫৬,২০০ টাকা) থেকে ৬,৮০০ টাকার মতো কম আছে সোনার দাম।
ভারতীয় বাজারের মতো বিশ্ব বাজারেও বাড়ছে সোনার দাম। দুর্বল ডলার এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত উদ্বেগের ফলে যা প্রায় পাঁচ মাসে সবথেকে দামী (এক আউন্সের দাম ১,৯১৪.২৬ ডলার) হয়ে গিয়েছিল। পরে কিছুটা পড়েছে দাম। আপাতত এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৯১১.৪৫ ডলার। আর প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রার তুলনায় ০.২৬ শতাংশ পড়েছে ডলার সূচক। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সস্তা হয়েছে সোনা।
জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, এক আউন্স সোনার দাম ১,৮৭৫ ডলারে সহায়তা পেতে থাকলে হলুদ ধাতুর ইতিবাচক যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আপাতত ১,৯২৫ ডলারে বাধা পাবে সোনা। তারপর ১,৯৭০ ডলারে বাধা পেতে পারে। তবে একধাক্কায় সোনার দাম ১,৮৪৫ ডলারের নীচে নেমে গেলে হলুদ ধাতু ধাক্কা পাবে।