বৃহস্পতিবার ভারতীয় বাজারে পড়ল সোনা এবং রুপোর দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮,১৯৫ টাকা। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.০৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৭০,৩১০ টাকা।
গত সেশনে সোনার দাম ০.৭২ শতাংশ বেড়েছিল। তার জেরে ১০ গ্রাম সোনা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৮,২০০ টাকায়। যা দু'মাসে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে আরও বেশি উত্থানের সাক্ষী ছিল রুপো। এক কেজি রুপোর দাম ১,৬১৫ টাকা বা ২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এমসিএক্স সূচকে ৪৬,২০০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে ১০ গ্রাম সোনা। আর বাধা পাচ্ছে ৪৮,২৪০ টাকায়।
বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে চলতি মাসে ভারতীয় বাজারে হুড়মুড় করে বেড়েছে সোনার দাম। ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪,০০০ টাকারও বেশি উঠেছে। চলতি মাসের শুরুতে তো সোনার দাম প্রায় এক বছরের সর্বনিম্ন স্তরে (১০ গ্রামের দাম ৪৪,১০০ টাকা) পৌঁছে গিয়েছিল। তবে দুর্বল মার্কিন ডলারের কারণে সেই নিম্নমুখী প্রবণতা কেটে গিয়েছিল। এমনিতে গত বছর অগস্টে রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল ১০ গ্রাম সোনা। তার ফলে রেকর্ড দরের তুলনায় এখনও প্রায় ৮,০০০ টাকা কম আছে সোনার দর।
দুর্বল ডলারের কারণে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম কমেনি। বরং ১,৮০০ ডলারের স্তরের আরও কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ১,৭৯৩.৩২ ডলারে অবচিল আছে। তার আগেই অবশ্য দাম পৌঁছেছিল ১,৯৭৯.৬৭ ডলারে। যা দু'মাসে সর্বোচ্চ।
এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৭৭ ডলার। ডলার সূচক ০.১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১.৬৬ শতাংশ। তা সত্ত্বেও তা প্রায় এক মাসে সর্বনিম্ন। দুর্বল ডলারের ফলে অন্য মুদ্রাধারীদের কাছে সোনার দাম কমেছে। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও এক আউন্স সোনা ১,৭৬০ ডলারে সহায়তা পাচ্ছে সোনা। যে দাম বেড়ে ১,৮২০ ডলার বা তার বেশি হতে পারে। অপ্রত্যাশিতভাবে এক আউন্স সোনার দাম ১,৭২৫ ডলারের নীচে গেলে তা যেমন অপ্রত্যাশিত হবে, তেমনই নিম্নমুখী ধারাও শুরু হবে।