সোমবার ভারতীয় বাজারে বাড়ল সোনার দাম। তবে অটল থাকল রুপো। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৫৬১ টাকা। তার ফলে রেকর্ড দরের (গত বছর অগস্টে ১০ গ্রামের দাম ৫৬,২০০ টাকা) তুলনায় এখনও প্রায় ৮,৬৫০ টাকা কম আছে সোনার দর। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ৬৮,৬৭৫ টাকা।
গত দুটি সেশনে বড়সড় পতনের সাক্ষী ছিল সোনা। গত বুধবার ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,৫০০ টাকায় পৌঁছে গিযেছিল। পরের দু'দিনে অবশ্য সোনার দাম কিছুটা কমেছে। তা সত্ত্বেও বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে চলতি মাসে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৩,৫০০ টাকা বেড়েছে। ক্যাপিটালভায়া গ্লোবাল রিসার্চের তরফে জানানো হয়েছে, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনা সহায়তা পাচ্ছে ৪৭,২০০-৪৭,২৫০ টাকা। আর যদি ৪৮,৪০০ টাকার গণ্ডি পেরিয়ে যায়, তাহলে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৯,৭০০ টাকার দিকে অগ্রসর হবে।
তবে খুচরো ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধের কারণে ভারচতে সোনার চাহিদা ধাক্কা খেয়েছে। স্থানীয় স্তরে বিধিনিষেধের জেরে আগামী কয়েক সপ্তাহে সোনার চাহিদা কম থাকবে বলে মত খুচরো ব্যবসায়ীদের। যদিও এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিয়ের মরশুম চলছে। তা সত্ত্বেও চাহিদা বাড়বে না বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
দুর্বল ডলারের কারণে বিশ্ব বাজারেও বেড়েছে সোনার দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে ১,৭৭৯.৩৬ ডলার হয়েছে। ডলার সূচক ০.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯০.৬৯২। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সস্তা হয়েছে সোনা। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৬০ ডলারের সহায়তা পাচ্ছে, ততক্ষণ সোনার ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে। যা ভবিষ্যতে সোনার দরকে ১,৮২০ ডলার বা তার ঊর্ধ্বে নিয়ে থেকে পারে। তবে এক আউন্স সোনার দাম ১,৭২৫ ডলারের নিচে গেলে তা হলুদ ধাতুর নিম্নমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দেবে।