শেষ চারদিন ধরে ভারতীয় বাজারে হিমশিম খাচ্ছে সোনা। শুক্রবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ০.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬,২৯৭ টাকা। যা গত আট মাসে সর্বনিম্ন দামের কাছাকাছি। তবে কমেছে রুপোর দর। এক কেজি রুপোর দাম ০.৪ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৮,৯৮৯ টাকা।
গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দর রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর থেকে সোনার দাম অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে। মোটামুটি একটা স্তরের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে হলুদ ধাতুর দর। আপাতত রেকর্ড দরের থেকে প্রায় ১০,০০০ টাকা কম পড়ছে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দর। জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার সহায়তা আছে ৪৫,৪৫০ টাকায়। ৪৭,৩৮০ টাকায় বাধা পাবে। আর এমসিএক্স সূচকে এক কেজি রুপো বাধা পাচ্ছে ৭২,৮০০ টাকা এবং ৬৮,৪০০ টাকায় সহায়তা পাচ্ছে রুপো।
বিশ্ব বাজারে সোনার দাম অটল আছে। তবে টানা দু'সপ্তাহ পতনের মুখে পড়তে চলেছে হলুদ ধাতু। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৭৭৭০.১৫ ডলার। তবে সাপ্তাহিক পতন হতে চলেছে প্রায় ০.৬ শতাংশ। এক আউন্স মার্কিন গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৫ শতাংশ কমে হয়েছে ১,৭৬৭.১ ডলার। বৃহস্পতিবার তো একধাক্কায় ১.৯ শতাংশ পতনের সাক্ষী ছিল সোনা। অন্যান্য দামী ধাতুর মধ্যে রুপো, হীরের দরও বেড়েছে। এক আউন্স রুপোর দাম ০.৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৭.৪৯ ডলার। জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ এক আউন্স সোনা ১,৭৬০ ডলারে সহায়তা পাবে, ততক্ষণ ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে। তবে উত্থানের প্রবণতায় গতি আনার জন্য ১,৮৮০ ডলারের সীমা ভাঙতে হবে। আর ১,৭৫০ ডলারের নীচে দর পড়ে গেলে তা নগদ অর্থের চাপের প্রাথমিক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।