করোনাভাইরাসের বি.১.১.৫২৯ প্রজাতি নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব পড়ল বাজারে। ভারতীয় বাজারে জোরালো ধাক্কা লাগল। তারইমধ্যে শুক্রবার বাড়ল সোনা এবং রুপোর দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৬৩০ টাকা। অন্যদিকে, এক কিলোগ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দাম ০.১২ শতাংশ বেড়ে ৬৩,৮৬৮ টাকায় ঠেকেছে।
ভরা বিয়ের মরশুমের মধ্যে গত সেশনেও সোনার বেড়েছিল। ০.২ শতাংশ বেড়ে হলুদ ধাতুর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৭,৫৩০ টাকা। য়দিও একটা সময় পাঁচদিনে ১০ গ্রাম সোনার দাম ১,৬০০ টাকা কমে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও উত্থানের জেরে রেকর্ডের থেকে ৮,৬০০ টাকা মতো কম পড়ছে সোনার দাম। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬২,৯৮১ টাকা।
ভারতে সোনার দামের ভবিষ্যৎ কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির কারণে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত সোনা এবং রুপোর উত্থান অব্যাহত থাকবে। চলতি বছরের শেষে ৫১,০০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলতে পারে ১০ গ্রাম সোনা। আর এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ৭২,০০০ টাকা থেকে ৭৪,০০০ টাকার স্তরে পৌঁছে যেতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে আইআইএফএল সিকিউরিটিজের কমোডিটি এবং কারেন্সি ট্রেডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অনুজ গুপ্তা জানান, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, দুর্বল মার্কিন পরিসংখ্যান এবং চাহিদা বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে সোনা ও রুপোর দামে। যে ধারা আগামী কয়েক মাস ধরে চলতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত সোনা এবং রুপোর দামের উত্থান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের শেষের দিকে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম বেড়ে ৫০,০০০ টাকা থেকে ৫১,০০০ টাকা হতে পারে। আর এমসিএক্স সূচকে এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ৭২,০০০ টাকা থেকে ৭৪,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’