টানা পাঁচদিনের ধাক্কা সামলে কিছুটা নড়েচড়ে বসল সোনা। শুক্রবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৮,৭৪৯ টাকা। রাতে বিশ্ব বাজারে উত্থানের মধ্যে এক কেজি রুপোর দাম ১.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮,৬৩৯ টাকা।
শুধু শুক্রবার নয়, গত সেশনেও বড়সড় উত্থানের সাক্ষী ছিল রুপো। সেই সময় রুপোর দাম বেড়েছিল ১.৮ শতাংশ। সবমিলিয়ে গত দু'দিনে এক কেজি রুপোর দামী হয়েছে ২,২০০ টাকা। তবে গত সেশনে সোনার দাম কমেছিল ০.৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে নয়া বছরের গোড়া থেকে চলতি বছর ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় তিন শতাংশ বা ১,৫০০ টাকা কমেছে।
বিশ্ব বাজারে অবশ্য অটল আছে সোনা। মার্কিন আর্থিক প্যাকেজের দিকে কড়া নজর রেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৮৪০.৯১ ডলার। তা সত্ত্বেও নয়া বছরের প্রথম মাসে প্রায় তিন শতাংশ পতনের সাক্ষী থাকতে চলেছে হলুদ ধাতু। শক্তিশালী ডলার এবং মার্কিন আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সোনার উপর প্রভাব পড়েছিল। বৃহস্পতিবার ৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পর রুপোর দর ০.৭ শতাংশ পড়েছে। তার ফলে এক আউন্স রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ২৬.১৮ ডলার।
একাধিক মুদ্রার নিরিখে মার্কিন ডলার ০.২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সোনা আরও দামী হয়েছে। চলতি মাসে মার্কিন ডলারের সূচক ০.৮ শতাংশ বেড়েছে। তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার বিশ্ব সোনা পরিষদ জানিয়েছে, ১১ বছরে সোনার চাহিদা সবথেকে কমে গিয়েছিল গত বছর। করোনাভাইরাসের ধাক্কায় গত বছর ভারতে সোনার চাহিদা এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছিল। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীকে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসায় চলতি বছর সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে বিশ্ব সোনা পরিষদ। গত অগস্টে ভারতে ১০ গ্রাম সোনার দাম রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল।