ভারতীয় বাজারে বাড়ল সোনার দাম। বৃহস্পতিবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম অগস্ট গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৮৯৩ টাকা। যদিও চাহিদা কম থাকায় সার্বিকভাবে গত মাসের শিখর থেকে ২,০০০ টাকার মতো কম পড়ছে হলুদ ধাতুর দর। তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার একলাফে প্রায় দু'শতাংশ বা ১,২৫০ টাকা বেড়েছে এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম। আপাতত এক কেজি রুপোর দাম পড়ছে ৬৭,৬২২ টাকা।
বিশ্ব বাজারে টানা তিনদিন উত্থানের সাক্ষী থেকেছে সোনা। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়ালের মন্তব্যের জেরে বেড়েছে হলুদ ধাতুর দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িযেছে ১,৮১৮.৫ ডলার। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে দাবি করা হয়, সম্প্রতি যে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে, তা ক্ষণস্থায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিশ্চয়তা এবং মুদ্রাস্ফীতির যে ঝুঁকি আছে, তার সহায়তা পাচ্ছে সোনা। আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে না পারার বিষয়টিও সোনার পক্ষে গিয়েছে। আপাতত সাপ্তাহিক মার্কিন বেকারত্বের পরিসংখ্যানের দিকে নজর আছে লগ্নিকারীদের। যা বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারে অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে অনেকটা বেড়েছে রুপো এবং হিরের দাম। এক আউন্স রুপোর দাম ১.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫.৩৩ ডলার। এক আউন্স হিরের দাম ১,০৭৫.২৯ ডলার পড়ছে।
কিন্তু ভারতে সোনার দাম কম কেন? আইআইএফএল সিকিউরিটিজের কমোডিটি অ্যান্ড কারেন্সি ভাইস-প্রেসিডেন্ট অনুজ গুপ্ত জানান, ইতিমধ্যে দেশে বিয়ের মরশুম চলে গিয়েছে। চলতি মাস বিয়ের সময় নয়। তার ফলে ভারতে সোনার চাহিদা কমেছে। তবে এখন কম থাকলেও অচিরেই দাম বাড়বে হলুদ ধাতুর। স্বল্পকালে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,৫০০ টাকার স্তরে পৌঁছে যেতে পারে। তারপর চলতি বছরের দীপাবলির মধ্যে ৫২,৫০০ টাকাও ছুঁয়ে ফেলতে পারে সোনা। রেলিগ্রে ব্রোকিং লিমিটেডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুগন্ধা সচদেব জানান, এখনও সোনার নিম্নমুখী প্রবণতা জারি আছে। তাই সোনার দামে সামান্য পতন হলেও তা হলুদ ধাতু ক্রয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত ১০ গ্রাম সোনা ৪৮,৫০০ টাকায় বাধা পাচ্ছে। সেই বাধা পার করে গেলেই চলতি বছরের দীপাবলির মধ্যে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,৫০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে।