সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই ভারতে কমল সোনা এবং রুপোর দাম। সোমবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৯২৬ টাকা। ০.৩ শতাংশ পতনের সাক্ষী থেকেছে রুপো। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম পড়ছে ৬৭,৮৬৫ টাকা।
গত সেশনে ভারতে ১০ গ্রাম সোনার দাম ০.৭৫ শতাংশ বা ৪০০ টাকা পড়েছিল। সেইসঙ্গে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভারতে হলুদ ধাতুর চাহিদা বেশ কম ছিল। খুচরো বাজারে তেমন চাহিদা ছিল না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৬,৮৫০ টাকায় সহায়তা পাচ্ছে। বাধা পাচ্ছে ৪৮,৬৫০ টাকায়। অন্যদিকে, গত সেশনে রুপোর দাম কমেছিল ০.৫ শতাংশ।
আইআইএফএল সিকিউরিটিজের কমোডিটি অ্যান্ড কারেন্সি ভাইস-প্রেসিডেন্ট অনুজ গুপ্ত জানান, ইতিমধ্যে দেশে বিয়ের মরশুম চলে গিয়েছে। চলতি মাস বিয়ের সময় নয়। তার ফলে ভারতে সোনার চাহিদা কমেছে। তবে এখন কম থাকলেও অচিরেই দাম বাড়বে হলুদ ধাতুর। স্বল্পকালে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,৫০০ টাকার স্তরে পৌঁছে যেতে পারে। তারপর চলতি বছরের দীপাবলির মধ্যে ৫২,৫০০ টাকাও ছুঁয়ে ফেলতে পারে সোনা। রেলিগ্রে ব্রোকিং লিমিটেডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুগন্ধা সচদেব জানান, এখনও সোনার নিম্নমুখী প্রবণতা জারি আছে। তাই সোনার দামে সামান্য পতন হলেও তা হলুদ ধাতু ক্রয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত ১০ গ্রাম সোনা ৪৮,৫০০ টাকায় বাধা পাচ্ছে। সেই বাধা পার করে গেলেই চলতি বছরের দীপাবলির মধ্যে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,৫০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে।
বিশ্ব বাজারেও সোনার দাম কমেছে। গত সেশনে দু'সপ্তাহের শীর্ষ স্তরে পৌঁছানোর পর এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৮০৯.২১ ডলার। তবে সার্বিকভাবে গত সপ্তাহে সোনার দাম ০.৮ শতাংশ কমেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তিশালী ডলারের প্রভাব পড়েছে সোনার দামে। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে এক আউন্স রুপোর দাম ০.৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫.৩৭ ডলার।