ডিসেম্বরের প্রথম দিনই বেড়েছিল সোনা এবং রুপোর দাম। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। বরং বুধবার ভারতীয় বাজারে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম ফেব্রুয়ারি গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮,৪৪৯ টাকা। এক কেজি রুপোর দাম এক শতাংশ কমে হয়েছে ৬২,৫৫৯ টাকা।
গত সেশনে অবশ্য সোনা এবং রুপোর দাম একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছিল। ১০ গ্রাম সোনার দাম ১.৪ শতাংশ বা ৭০০ টাকা উর্ধ্বমুখী হয়েছিল। সেখানে এক কেজি রুপোর দাম বেড়েছিল প্রায় ৩,০০০ টাকা। গত অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছানোর পর মোটের উপর হলুদ ধাতুর নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় আছে। শুধুমাত্র গত মাসেই ১০ গ্রাম সোনার দাম ২,৫০০ টাকার মতো কমেছিল।
বিশ্ব বাজারেও পড়েছে হলুদ ধাতুর দর। গত সেশনে অবশ্য সোনার দাম দু'শতাংশের বেশি উর্ধ্বমুখী হয়েছিল। কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ইতিমধ্যে সম্ভাব্য করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদনের তোড়জোড় করার ফলে আগামী বছরে অর্থনীতিতে আরও কিছুটা ছন্দ ফিরে আসার আশা তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে আরও মার্কিন আর্থিক প্যাকেজের আশার ফলে সহায়তা পেয়েছে সোনার দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৮১৩.৭৫ ডলার। আউন্স পিছু রুপোর দামও কমেছে। যা ০.৫ শতাংশ নেমে হয়েছে ২৩.৮৯ ডলার।
কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সোনার নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় আছে। করোনা টিকা নিয়ে আশা এবং আমেরিকায় প্রশাসনিক দায়ভারের মসৃণ হস্তান্তরের ফলে সুরক্ষিত সম্পত্তি হিসেবে সোনার চাহিদা কিছুটা কমেছে। দুর্বল মার্কিন ডলার, বড় বড় দেশগুলির মিশ্র আর্থিক পরিসংখ্যান, ক্রমশ খারাপ হওয়া করোনা পরিস্থিতি এবং বাড়তি আর্থিক প্যাকেজের প্রভাব পড়েছে সোনার দামে।