বিশ্ব বাজারে কিছুটা বেড়েছে দর। সেই রেশ ধরে শুক্রবার ভারতীয় বাজারে বাড়ল সোনা এবং রুপোর দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭,২০০ টাকা। রুপোর দর ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৯,৩৩৫ টাকা।
গত মাসে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের একটি ইঙ্গিতের পর থেকেই ধাক্কা খেয়েছে হলুদ ধাতু। ফেডারেল রিজার্ভের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে নির্ধারিত সময়ের আগেই সুদের হার বাড়ানো হতে পারে। তার জেরে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন লগ্নিকারীরা। হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায় সোনার দাম। সেই রক্তক্ষরণের প্রভাব পড়ে ভারতীয় বাজারেও।
গত মাসে ভারতে ১০ গ্রাম সোনার দাম ২,৫০০ টাকার মতো কমেছে। আপাতত রেকর্ড দরের থেকে ৯,০০০ টাকা কম আছে সোনার। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দর ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় সোনার দর ৫০,০০০ টাকার কাছে চলে গেলেও এখন তা আবার কমে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে আপাতত ৪৭,৩৩৫ টাকায় বড়সড় বাধা পাচ্ছে ১০ গ্রাম সোনা।
বিশ্ব বাজারে সোনার দাম সামান্য বেড়েছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৭৭৮.২৬ ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্নস্তরে করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতিরও সাহায্য পাচ্ছে সোনা। সেইসঙ্গে শুক্রবার মার্কিন কর্মসংস্থান সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হবে। তার আগে সতর্কভাবে পা ফেলছেন লগ্নিকারীরা। সেই রিপোর্ট যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নেতিবাচক ইঙ্গিতের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে সোনা। তারইমধ্যে শক্তিশালী মার্কিন ডলারেরও সহায়তা পাচ্ছে হলুদ ধাতু। আপাতত প্রায় তিন মাসের সর্বোচ্চ স্তরের কাছে থাকছে মার্কিন ডলার। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সোনার দাম বেশি পড়ছে। অন্যদিকে, সোনার মতোই বিশ্ব বাজারে বেড়েছে রুপোর দাম। এক আউন্স রুপোর দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.০৫ ডলার।