বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে ভারতীয় বাজারে কমল সোনা এবং রুপোর দাম। মঙ্গলবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম অগস্ট গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯,৩৬৩ টাকা। অন্যদিকে কমেছে রুপোর দামও। এক কেজি রুপোর দাম ০.৬ শতাংশ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭১,৮৩২ টাকা।
গত সেশনে ১০ গ্রাম সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯,৭০০ টাকা। যা চার মাসে সর্বোচ্চ স্তরে ছিল। এমনিতে গত মার্চে ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৪৪,০০০ টাকার কাছে নেমে গিয়েছিল। যা প্রায় এক বছরে সর্বনিম্ন ছিল। পরে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সোনার দাম অনেকটাই বেড়েছে। সেই উত্থানের জেরে সোনার দাম ক্রমশ ৫০,০০০ টাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত দু'মাসে সোনার দাম ৫,০০০ টাকার মতো বেড়েছিল। তাও গত বছরের অগস্টের রেকর্ড দরের থেকে আপাতত সোনা ৭,০০০ টাকার মতো কম আছে।
সপ্তাহখানেক আগেই রিলগেরে ব্রোকিং লিমিটেডের সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছিলেন, মধ্যবর্তী সময় এক কেজি রুপোর দাম ৭৫,৫০০-৭৬,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় বা বছর শেষের মধ্যে তা ৮৫,০০০ টাকা ছুঁয়ে যেতে পারে বলে ধারণা সুগন্ধার। সোনার ক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, মধ্যবর্তী সময় ১০ গ্রাম সোনার দর ৫২,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। আর দীর্ঘকালীন সময় সোনার দাম পৌঁছে যেতে পারে ৫৫,০০০-৬০,০০০ টাকায়।
বিশ্ব বাজারে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৮৯৮.৫৮ ডলার। মঙ্গলবার অবশ্য সোনার দাম পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময় এক আউন্স সোনার দর পৌঁছে গিয়েছিল ১,৯১৬.৪ ডলারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের জেরে কমেছে সোনার দাম। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, এক আউন্স সোনা আপাতত ১,৯১৫ ডলারে বাধা পাচ্ছে। তারপর বাধা পাবে ১,৯২৫ ডলারে। আর ১,৮৭৫ ডলারে সহায়তা পাচ্ছে হলুদ ধাতু। তারপর সহায়তা পাবে ১,৮১০ ডলারে।