টানা চারদিন ভারতীয় বাজারে দুর্বল থাকল সোনার দাম। বৃহস্পতিবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৭,০৬৩ টাকা। কমেছে রুপোর দাম। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম পড়ছে ৬৩,৭৯৫ টাকা।
গত সেশনেও সোনার দাম দুর্বল ছিল। দামের তেমন হেরফের হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তিশালী টাকা ও দুর্বল আন্তর্জাতিক বাজারের ফলে ভারতেও দুর্বল থাকছে সোনা। বিশেষত ভারতের সোনার দামে ১০.৭৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং তিন শতাংশ জিএসটি ধরা হয়। তার ফলে টাকা শক্তিশালী হলে ভারতীয় বাজারে সোনার দাম কমে যায়। ডলারের মাধ্যমে সোনার কেনাবেচা হয়। অন্যদিকে, গত সেশনে রুপোর দাম বেড়েছিল ০.৭৬ শতাংশ।
বিশ্ব বাজারে সোনার দাম মোটামুটি অটল আছে। আপাতত এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম পড়ছে ১,৮১৪.৫৪ ডলার। জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, সোনার দামে উত্থান-পতন প্রাথমিকভাবে হতে পারে। যদি এক আউন্স সোনার দাম ১,৮০০ ডলারের উপর থাকে, তাহলে হলুদ ধাতু ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে। তবে একধাক্কায় দর ১,৭৮০ ডলারের নীচে চলে গেলে চাপ বাড়বে। রুপোর দামেও হেরফের হয়নি। এক আউন্স রুপোর দাম পড়ছে ২৪.১৭ ডলার। ডলার সূচক সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২.৫২৮। তবে তা এখনও কয়েক সপ্তাহে সর্বনিম্ন স্তরের কাছেই আছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামিকাল (শুক্রবার) কর্মসংস্থান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন রিপোর্টের আগে বিনিয়োগকারীরা সতর্কভাবে পা ফেলেছেন। কারণ সেই রিপোর্টের মাধ্যমে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপের আঁচ পাওয়া যেতে পারে। একাংশের মতে, মার্কিন কর্মসংস্থান সংক্রান্ত রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আর্থিক প্যাকেজে কাটছাঁট করতে পারে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।