বিশ্ব বাজারে হেরফের হয়নি সোনার। তার রেশ ধরে ভারতীয় বাজারে চাঙ্গা হল না সোনা। বরং সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে দাম কমল হলুদ ধাতুর। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম জুন গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫,৩৫৫ টাকা। আর এক কেজি রুপোর দাম কমে হয়েছে ৬৫,০৭০ টাকা।
করোনাভাইরাস মহামারীতে ধ্বস্ত অর্থনীতি, টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরুর ফলে ২০১৮ সালের পর থেকে প্রথমবার কোনও ত্রৈমাসিকে পতনের সাক্ষী থাকল সোনা। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনা রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকার ছুঁয়ে ফেলেছিল। তারপর থেকে সোনার গ্রাফ নিম্নমুখী আছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই হলুদ ধাতুর দাম পড়েছে প্রায় ৫,০০০ টাকা। আর সার্বিকভাবে রেকর্ড দরের তুলনায় প্রায় ১১,০০০ টাকা কম পড়ছে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দর। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আপাতত এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনা ৪৬,১৫০ টাকায় বাধা পাচ্ছে। আর সহায়তা পাচ্ছে ৪৪,১০০ টাকায়।
অন্যদিকে, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম স্থিতিশীল আছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ১,৭২৮.৬০ ডলার পড়ছে। তবে রুপোর দাম সামান্য বেড়েছে। এক আউন্স রুপোর দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.০১ ডলার। তারইমধ্যে গত শুক্রবার যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আমেরিকায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে। করোনা টিকাকরণ, কম বিধিনিষেধ এবং বাড়তি আর্থিক প্যাকেজের সৌজন্যে সাত মাসের মধ্যে মার্চে সর্বাধিক কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে আমেরিকায়। আশার থেকেও ভালো পরিসংখ্যানের জেরে মূল্যবৃদ্ধি আশঙ্কাও কিছুটা দূর হয়েছে। আপাতত ২.২৫ ট্রিলিয়ন ডলারের পরিকাঠামো লগ্নির প্রস্তাব নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিতর্কের দিকে নজর রাখছেন সোনার বিনিয়োগকারীরা।