বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে বৃহস্পতিবার ভারতেও দুর্বল প্রবণতা অব্যাহত থাকল সোনার। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম সামান্য কমে ৪৭,৮৮৮ টাকা দাঁড়িয়েছে। তার ফলে গত পাঁচদিনে হলুদ ধাতুর দাম কমেছে প্রায় ৭০০ টাকা। অন্যদিকে, এক কিলোগ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭,৫৩১ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড অক্টোবর ফিউচার্সের দাম ৪৭,৭৫০ টাকা মেনে যেতে পারে। আর এমসিএক্স সূচকে এক কিলোগ্রাম সিলভার সেপ্টেম্বরের দাম ৬৭,২০০ টাকায় নেমে যেতে পারে। যদিও ভারতে এখন কম থাকলেও অচিরেই দাম বাড়বে হলুদ ধাতুর। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বল্পকালে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,৫০০ টাকার স্তরে পৌঁছে যেতে পারে। তারপর চলতি বছরের দীপাবলির মধ্যে ৫২,৫০০ টাকাও ছুঁয়ে ফেলতে পারে সোনা। রেলিগ্রে ব্রোকিং লিমিটেডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সুগন্ধা সচদেব জানান, এখনও সোনার নিম্নমুখী প্রবণতা জারি আছে। তাই সোনার দামে সামান্য পতন হলেও তা হলুদ ধাতু ক্রয়ের ভালো সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। চলতি বছরের দীপাবলির মধ্যে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,৫০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে, দৃঢ় ডলারের কারণে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম নিম্নমুখী আছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৮০৯.৯৬ ডলার। গত সেশনে তিন সপ্তাহের শীর্ষে পৌঁছানোর পর এক আউন্স রুপোর দাম ২৫.৩৪ ডলারে অবিচল আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিপির জাতীয় কর্মসংস্থানের রিপোর্টের পর গত সেশনে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম এক শতাংশের বেশি উত্থানের সাক্ষী ছিল। যে রিপোর্ট অনুযায়ী, জুলাইয়ে যতটা প্রত্যাশা ছিল, তার থেকে অনেকটাই কম বেড়েছে মার্কিন বেসরকারি বেতন। সেইসঙ্গে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের এক উচ্চপদস্থ কর্তার মন্তব্যের প্রভাবও পড়েছে সোনার দামে। আপাতত আগামী শুক্রবার আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হবে, স দিযে তাকিযে আছেন লগ্নিকারীরা।