নয়া সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেও বাড়ল সোনার দাম। সোমবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,০৭৫ টাকা। তার ফলে টানা তিনদিন উত্থানের সাক্ষী থেকেছে সোনা। অন্যদিকে, রুপোর দাম ০.৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৪,৬৩৮ টাকা।
গত সপ্তাহে শুক্রবার সোনার দাম বেড়েছিল ০.৮ শতাংশ। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ছিল ৪৮,০০০ টাকা। যা প্রায় তিন মাসে সর্বোচ্চ। সোমবারও সেই উত্থান অব্যাহত আছে। তবে রেকর্ড দরের (গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫৬,২০০ টাকা) থেকে হলুদ ধাতুর দাম ৮,১২৫ টাকা কম পড়ছে। অন্যদিকে, শুক্রবার ০.৩৩ শতাংশ উত্থানের সাক্ষী ছিল রুপো। তার ফলে বাজার বন্ধের সময় এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ছিল ৬৪,৩৩০ টাকা।
সোমবার বিশ্ব বাজারেও বেড়েছে সোনার দাম। শুক্রবার যে উত্থান হয়েছিল, তা আজ আরও বেড়েছে। তার ফলে প্রায় দু'মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে হলুদ ধাতু। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮১৭.৬৫ ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় এক বছরের সর্বোচ্চ স্তর থেকে শুক্রবার মার্কিন ডলার কিছুটা নিম্নমুখী হওয়ায় বেড়েছে সোনার দর। আপাতত চলতি সপ্তাহে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের দিকে তাকিয়ে আছেন বিনিয়োগকারীরা। জিয়োজিত্ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, এক আউন্স সোনার দাম যতক্ষণ ১,৮১৫ ডলারে সমর্থন পাচ্ছে, ততক্ষণ দাম বাড়তে থাকবে। সরাসরি ১,৭৫০ ডলারের নীচে নেমে গেলে তা সোনার দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
অন্যদিকে, অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে সোমবার বিশ্ব বাজারে বেড়েছে রুপোর দামও। এক আউন্স স্পট সিলভারের দাম ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৪.২৫ ডলার। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, রুপোর উত্থান জারি থাকার জন্য দাম সরাসরি ২৫ ডলারের গণ্ডি ছাড়াতে হবে। নাহলে দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।