পরপর দু'দিন ভারতীয় বাজারে কমল সোনার দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮,০২৩ টাকা। অন্যদিকে, এক কিলোগ্রাম সিলভার ফিউচার্সের দর ঠেকেছে ৬১,৫৯০ টাকায়।
এমনিতে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ২,০০০ টাকার মতো কমেছে সোনার দাম। সার্বিকভাব রেকর্ড দরের থেকে থেকে ৮,১০০ টাকার মতো কম আছে হলুদ ধাতুর দাম। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম সোনার দাম ঠেকেছিল ৫৬,১৯১ টাকায়। যা ভারতীয় বাজারে সোনার সর্বোচ্চ স্তর ছিল।
বিশ্ব বাজারে অবশ্য সোনার দাম অবিচল আছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ১,৭৮২.৬৫ ডলার দাঁড়িয়েছে। ছ'টি মূল মুদ্রার নিরিখে মার্কিন ডলারের সূচক ০.১ শতাংশ শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামিকাল মার্কিন ক্রেতা মূল্য সূচকের দিকে তাকিয়ে আছেন লগ্নিকারীরা। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২২.৩৪ ডলার।
ভারতের বাজারে সোনার দাম কী হবে?
‘লাইভ মিন্টে’ শেয়ার ইন্ডিয়ার রিসার্চের প্রধান এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট রবি কুমার জানিয়েছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। তার জেরে সোনার দামে হেরফের হচ্ছে। ওমিক্রনের ভয়াবহতা বুঝতে লগ্নিকারীরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দিকে তাকিয়ে আছেন। আপাতত স্বল্পকালীন সময় ১০ গ্রাম সোনা ৪৭,০০০ টাকা থেকে ৪৬,৮০০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে। যদি ওমিক্রনের সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে, তাহলে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫২,৫০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। স্বস্তিকা ইনভেস্টমার্টেনর অভিষেক চৌহানের মতে, আগামী কয়েক মাসে ৫২,০০০ টাকার স্তর ছুঁয়ে ফেলতে পারে সোনা। অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দামে রেকর্ড তৈরি হবে কিনা, তা নির্ভর করবে আগামী মাসে ওমিক্রনের সংক্রমণের উপর।