টানা দু'দিন ভারতীয় বাজারে কমল সোনার দাম। ভারতীয় মুদ্রা কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার মধ্যে শুক্রবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭,৭১৬ টাকা। তারইমধ্যে কমেছে রুপোর দামও। এক কিলোগ্রামের দাম ০.৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৮,৬০৬ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৪৯,৩০০ টাকায় বাধা পাচ্ছে ১০ গ্রাম সোনা। সমর্থন পাচ্ছে ৪৭,০৩০ টাকায়। আপাতত রেকর্ড দরের থেকে ৮,৪০০ টাকার মতো কম আছে ১০ গ্রাম সোনার দাম। গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম হলুদ ধাতুর দাম ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল।
বিশ্ব বাজারে অবশ্য সোনার দাম অটল আছে। তার ফলে টানা তিন সপ্তাহ দাম বৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে সোনা। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৮০০.৮৫ ডলার। চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে ০.৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনিতেই দুর্বল ইক্যুইটি বাজার। তারইমধ্যে নয়া প্রজাতির করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে বিশ্বের একাধিক দেশে নতুন করে বিধিনিষেধের জেরে লগ্নিকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সেই দুইয়ের প্রভাব পড়েছে সোনার দামে।
জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ এক আউন্স সোনার দাম ১,৮০০ ডলারের উপরে থাকবে, ততদিন ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু শুক্রবার একধাক্কায় দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা কার্যত নেই। তবে এক আউন্সের দর ১,৭৭৪ ডলারের নীচে নেমে গেলে দুর্বল হয়ে পড়বে সোনা। কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সোনার বাজার ওঠানামা করবে। অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো এবং ঊর্ধ্বমুখী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে আপাতত লগ্নিকারীরা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের আর্থিক নীতির দিকে তাকিয়ে আছেন।
এমনিতে ভারতীয় বাজারের বিষয়ে রেলিগে ব্রোকিংয়ের সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে সোনা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। প্রাথমিকভাবে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৭,৫০০ টাকার দিকে এগিয়ে যাবে হলুদ ধাতু। আগামিদিনে তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ৪৮,১০০ টাকার কাছে পৌঁছে যেতে পারে। উলটোদিকে ৪৬,৫০০ থেকে ৪৬,৩০০ টাকার সহায়তার স্তরে নেমে গেলে বিক্রয়ের চাপ বাড়বে। তার জেরে সোনার সহায়তার স্তরে ৪৫,৫০০ টাকা থেকে ৪৫,৩০০ টাকায় নেমে যাবে।