টানা তৃতীয় দিন ভারতে দুর্বল থাকল সোনার দাম। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯,১৫৯ টাকা। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম ০.২ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭১,৩৭০ টাকা।
গত সেশনে বাজার বন্ধের সময় সোনার দাম অটল ছিল। তবে রুপোর দাম ০.৮ শতাংশ পড়েছিল। গত সপ্তাহে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৯,৭০০ টাকা পৌঁছানোর পর চলতি সপ্তাহে হলুদ ধাতুর উত্থান-পতন জারি আছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভারতীয় বাজারে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,৪০০-৪৮,৬০০ টাকায় সমর্থন পাচ্ছে। বাধা পাচ্ছে ৪৯,৫০০ টাকায়।
বিশ্ব বাজারে সোনার দাম অটল আছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৮৯৩.৭৮ আউন্স। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আজ (বৃহ্স্পতিবার) মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে। তার উপর নির্ভর করবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নীতি। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নীতি-নির্ধারক বৈঠকও আছে। সেই দুই কারণেই লগ্নিকারীরা সতর্কভাবে পা ফেলছেন। ক্যাপিটালভায়া ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডভাইসরের তরফে জানানো হয়েছে, এক আউন্স সোনার দাম ১,৯১২-১,৯১৮ ডলারে বাধা পাচ্ছে। সমর্থন পাচ্ছে ১,৯০০ ডলারে। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে রুপোর দাম অটল আছে। এক আউন্স রুপোর দাম ২৭.৬৩ ডলার পড়ছে।
সম্প্রতি রিলগেরে ব্রোকিং লিমিটেডের সুগন্ধা সচদেব জানিয়েছেন, ভারতীয় বাজারে বছরের মধ্যবর্তী সময় এক কেজি রুপোর দাম ৭৫,৫০০-৭৬,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় বা বছর শেষের মধ্যে তা ৮৫,০০০ টাকা ছুঁয়ে যেতে পারে বলে ধারণা সুগন্ধার। সোনার ক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, মধ্যবর্তী সময় ১০ গ্রাম সোনার দর ৫২,০০০ টাকায় পৌঁছে যেতে পারে। আর দীর্ঘকালীন সময় সোনার দাম পৌঁছে যেতে পারে ৫৫,০০০-৬০,০০০ টাকায়।