কেরালায় সোনা পাচার কাণ্ডে বড় মোড়। গ্রেফতার হলেন পিনারাই বিজয়নের প্রাক্তন সচিব এম শিবশঙ্কর। এই বর্ষীয়ান আইএস অফিসারকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হাইকোর্ট শিবশঙ্করের অগ্রিম বেলের আবেদন খারিজ করার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সামনেই ভোট, তার আগে এই মামলায় মুখ পুড়েছে বিজয়ন সরকারের। বাম ঘনিষ্ঠ এই আমলার গ্রেফতারিতে নতুন করে অস্বস্তিতে তারা। কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সিদের হাতে আরও হেনস্থা সামলাতে হতে পারে, সেই নিয়ে চিন্তিত এলডিএফের নেতারা।
এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক অফিসার জানিয়েছেন যে তারা জাল প্রায় গুটিয়ে এনেছেন এবং আরও গ্রেফতারের সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যেই দুইবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী কেটি জালিলকে।
একদা বিজয়নের ঘনিষ্ঠ শিবশঙ্করের পতন এই তদন্তে নাম জড়ানোর পর। মূল অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশের গ্রেফতারির পরেই তাঁর নাম উঠে আসে। কীভাবে রাজ্য সরকারের মূল ভবনের বাইরে স্বপ্নাকে ফ্ল্যাট পাইয়ে দিয়েছিলেন এই আমলা, তদন্তে সেটি উঠে এসেছে। সেই ফ্ল্যাট থেকেই স্মাগলাররা কাজ চালাত বলে অভিযোগ। সোনা সমেত ধরা পড়ার পর কাস্টমসের ওপর তিনি চাপ সৃষ্টি করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
চলতি বছরের ৫ জুলাই এই সোনা পাচার চক্র সামনে আসে যখন কূটনৈতিক প্যাকেজের জায়গা ৩০ কেজি সোনা উদ্ধার করে কাস্টমস। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে তদন্ত এসে যায় মুখ্যমন্ত্রীর দোড়গোড়ায়। ইতিমধ্যেই বিজয়নের ইস্তফার দাবি করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। এখনও পর্যন্ত যদিও তিনি নির্দোষ, দাবি করে চলেছে সিপিএম।
এনআইএ, ইডি, কাস্টমস, ডিআরআই ও আইটি মিলে এই মামলার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমিরশাহির দূতাবাস ব্যবহার করে গত এক বছরে প্রায় ৪০০ কেজি সোনা পাচার করা হয়েছে বলেই গোয়েন্দাদের অনুমান।