পাকিস্তানের সিন্ধু নদে নাকি আছে ৬০০ বিলিয়ন পাক রুপি মূল্যের সোনা। এমনই দাবি করা হল এক রিপোর্টে। এই সিন্ধু নদের আশেপাশেই খ্রিষ্ঠপূর্ব ৩৩০০ থেকে খ্রিষ্ঠপূর্ব ১৩০০-র মধ্যে এক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। সেই সিন্ধু নদীর বুকেই নাকি লুকিয়ে আছে বিপুল সোনার ভাণ্ডার। এই সোনা যদি উত্তোলন করা যায়, তাহলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক হাল অনেকটাই ফিরতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই সিন্ধু নদ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে বয়ে যায়। পাকিস্তানের কাথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নদ। (আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এক ঘূর্ণাবর্ত, বদলে যাবে বাংলার আবহাওয়া?)
আরও পড়ুন: লিভইন পার্টনারকে খুন, ১০ মাস দেহ ফ্রিজে রেখে দিলেন প্রেমিক!
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের অ্যাটক অঞ্চলের পাশে এই সোনার ভাণ্ডার থাকতে পারে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এই সোনার ভাণ্ডারে থাকা হলুদ ধাতুর মূল্য ৬০০ বিলিয়ন পাক রুপি হতে পারে। এই অনুমান যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট দূর হয়ে যেতে পারে। (আরও পড়ুন: সাজায় 'নিঃশর্ত অব্যাহতি' পেয়েও খুশি নন, রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে চান ট্রাম্প)
আরও পড়ুন: সংসদে মহিলাদের ৩৩% সংরক্ষণের আইনকে চ্যালেঞ্জ, মামলার আবেদন নিয়ে কী বলল SC?
নবভারত টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিন্ধু নদে যে সোনা পাওয়া গিয়েছে, তা উত্তর পাকিস্তানের হিমালয়ের পাহাড় থেকে বয়ে আসতে পারে। কয়েক লাখ বছর আগে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকতে পারে। যখন টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ হয়েছিল, তখন সেখান থেকে সোনা সোনা নদীর জলে মিশে বয়ে এসে থাকতে পারে। কয়েক লক্ষ বছর ধরে এভাবে সোনা এসে পঞ্জাব প্রদেশে পৌঁছেছে। এই সোনা এখন ভাগ্য ফেরাতে পারে পাকিস্তানের। অ্যাটকের ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সোনা রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। প্রায় ৩২.৬ ট সোনা থাকতে পারে সিন্ধু নদের বুকে। এই সোনার মূল্য পাকিস্তানি মুদ্রায় ৬০০ বিলিয়ন হতে পারে। (আরও পড়ুন: গভীর রাতে শাসকদলের বিধায়কের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ)
এদিকে এই সোনার ভাণ্ডারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়রা বেআইনি ভাবে নদে খননকার্য চালাচ্ছে। তবে পাকিস্তানের খনিজ মন্ত্রকের আধিকারিকরা সেই সব বেআইনি খনি কাজে বাধা দিচ্ছেন। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, এই সব এলাকায় সোনার ওপর নজর না দিয়ে পাকিস্তান সরকার বালি এবং স্টোন জিঙ্কের খননের জন্য জমি বরাদ্দ করছে। এদিকে নদের বুকে থাকা সোনা আদৌ উত্তোলন করা সম্ভব কি না, না নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে যদি এই সোনা উত্তোলন সম্ভব হয়, তাহলে পাকিস্তান দেনা মুক্ত হতে পারে, কর্মসংস্থান হতে পারে। তবে এর জন্যে পাকিস্তান সরকারকে নিশ্চিত কতে হবে যে সেখানে বেআইনি খননকার্য বন্ধ হয়েছে।