প্যারিসে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাকশন সামিটে অংশ নিয়ে গুগলের প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। পিচাইয়ের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের 'এআই সম্ভবানা' নিয়ে কথা হয় মোদীর। এদিকে ভারতের 'ডিজিটাল রূপান্তরে' গুগল কীভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে বৈঠকে কথা বলেন সুন্দর পিচাই। (আরও পড়ুন: প্রয়াত রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস, বয়স হয়েছিল ৮৫)
আরও পড়ুন: 'কেনার কী আছে, নিয়ে নেব...', গাজা নিয়ে আরও কড়া বার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের
বৈঠক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুন্দর পিচাই লেখেন, 'প্যারিসে এআই অ্যাকশন সামিটে অংশ নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে দেখা করতে পেরে আনন্দিত। ভারতে এআই যে অবিশ্বাস্য সুযোগগুলি নিয়ে আসতে পারে, তা নিয়ে কথা হয় আমাদের। এছাড়া ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরে আমরা কীভাবে একসাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করেছি।' (আরও পড়ুন: 'এটা একটা ফেজ...', ভারতে এসে মোদী সরকারের 'প্রশংসা' বাংলাদেশি উপদেষ্টার গলায়)
আরও পড়ুন: ভান্সের ছেলে বিবেকের জন্মদিনের পার্টিতে চমৎকার সময় কাটালেন 'অমায়িক' মোদী
উল্লেখ্য, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যাকশন সামিটে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করতে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং এআইয়ের জন্য একটি বৈশ্বিক কাঠামোর পক্ষে পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে মানুষকে 'দক্ষ'করে তোলা প্রয়োজন। মোদী বলেন, 'আমরা এআই যুগে আছি। এটাই মানবতার গতিপথকে আকার দেবে।' সেইসঙ্গে মোদী জানিয়েছেন, স্বল্প ব্যয়ে ১.৪ বিলিয়ন মানুষের জন্য ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে ভারত। তাতে মিলেছে সাফল্য। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সকে দু'হাত দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে ভারত। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স নিয়ে কাজ করার জন্য বিশ্বের অন্যতম দক্ষ কর্মীরা ভারতে আছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। (আরও পড়ুন: ধানমন্ডি কাণ্ডের মাঝেই বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন জয়শংকর?)
আরও পড়ুন: ‘অজুহাত…’, হাসিনা ইস্যুতে ভারতের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন, হাল না ছাড়ার বার্তা ঢাকার
প্যারিসে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের ফলে চাকরি চলে যাবে - এটাই হল সবথেকে বড় ভয়। কিন্তু ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যাবে যে প্রযুক্তির কারণে কখনও চাকরি চলে যায়নি। শুধু কাজের ধরণ পালটে যায়। আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স নির্ভর ভবিষ্যতের জন্য যাতে আমাদের লোকজনদের দক্ষ করে তোলা যায়, সেজন্য আমাদের বিনিয়োগ করতে হবে।’ মোদীর সেই বক্তব্যের প্রতি সহমত পোষণ করেছেন আমেরিকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। প্যারিসের মঞ্চ থেকেই মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এমন পদক্ষেপ করা হবে, যাতে আমেরিকায় কর্মসংস্থান তৈরির একটা মাধ্যম হয়ে ওঠে এআই। আর সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদী যা বলেছেন, সেটার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। মানুষকে আরও কার্যকরী হয়ে উঠতে সহায়তা করবে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স।