সপ্তাহে তিন দিন অফিস। বাকি দু'দিন বাড়িতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। 'ব্যালেন্স' বজায় রেখে কাজ করার জন্য এমনই ফর্মুলা দিলেন Google-এর সিইও সুন্দর পিচাই।|#+|
ক্রমশই বিশ্ব এগোচ্ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দিকে। করোনা পরিস্থিতি সেই প্রবণতায় অনুঘটকের কাজ করেছে। প্রথম সারির বহু সংস্থাই কর্মীদের দীর্ঘকালীন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করছে। এতে যাতায়াতের কষ্ট ও সময় বাঁচছে। কাজ শেষে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছেন কর্মীরা। যাতায়াতের স্ট্রেস না থাকায় কাজও ভাল হচ্ছে।
সুন্দর পিচাই বলেন, 'নিউ ইয়র্ক এবং সান ফ্রান্সিসকোর মতো জায়গায় আমাদের কর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে যাতায়াত করে অফিসে আসত। এটি একটি বড় সমস্যা ছিল।' গুগলের সিইও জানান, আপাতত দুই-তিনটি হাইব্রিড মডেলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন ভাবনা অনুযায়ী, কর্মচারীরা সপ্তাহে দুই দিন যেখানে ইচ্ছা, সেখান থেকে কাজ করতে পারবেন। অফিসে আসতে হবে না। ইতিমধ্যেই গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই নয়া মডেল চালু করে গুগল-এর মালিক সংস্থা অ্যালফাবেট।
বাকি তিন দিন অফিসে আসতে হবে কর্মীদের। সম্পূর্ণ ওয়ার্ক ফ্রম হোম না দেওয়ার পেছনে যুক্তিও দেন সুন্দর পিচাই। তিনি জানান, এই তিন দিন অফিসে এলে কর্মীদের মধ্যে বোঝাপড়া, সহযোগিতা ও আলোচনার সুবিধা হবে।
তবে সময়ের সঙ্গে কর্মীদের একাংশকে সম্পূর্ণভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম দেওয়াই লক্ষ্য গুগলের। পিচাই বলেন, আগামিদিনে মোট কর্মীদের মধ্যে প্রায় ২০%-কে ওয়ার্ক ফ্রম হোম দেওয়া হবে। তিনি জানান, এ বিষয়ে সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তারা আলোচনা করছেন। কর্মীদের আরও বেশি স্বাধীনতা দেওয়াই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য।