সোমবার কেন্দ্রের তরফে একটি বিশেষ তথ্য পেশ করা হল সংসদে। এই দিনের তথ্যে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত আড়াই হাজার অ্যাপ নিষিদ্ধ বা ব্যান করেছে। আর সেগুলি লোন সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাপ। এই গোটা সময়ে মোট ৩৫০০ থেকে চার হাজার অ্যাপ রিভিউ করেছে গুগল। সেখান থেকে ২৫০০ অ্যাপকে ব্যান করেছে গুগলের প্লে স্টোর (google play store)। এই অ্যাপগুলি লোন দেওয়ার নামে আদতে ভুয়ো ব্যবসা চালাত।
(আরও পড়ুন: ফেল করতে করতেই হয়ে উঠলেন বিশারদ! জাতীয় গণিত দিবস পালন করা হয় তাঁর জন্মবার্ষিকীতে)
ফ্রড ঠেকাতে কেন্দ্রের ভাবনা
সংসদে বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, ফ্রড ঠেকাতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। এর উত্তরে একটি লিখিত উত্তর দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (finance minister nirmala sitharaman)। সেই উত্তরে বলা হয়, ফ্রড ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা। নির্মলার কথায়, এর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) ও বিভিন্ন নিয়ামক অ্যাপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কেন্দ্র। নিয়মিত ভুয়ো কারবারের উপর নজর রাখছে কেন্দ্র। ফাইনান্সিয়াল স্টেবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলে (financial stability and development council) বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনাও করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্মলা।
গুগলের পদক্ষেপ
এই প্রসঙ্গেই গুগলের পদক্ষেপের কথা শোনা যায় নির্মলার লিখিত উত্তরে। সেখানে তিনি লেখেন, গুগল নিজের বেশ কিছু নীতি রিভিউ করেছে। তাতে বদল এনেছে। সেই মতো লোন অ্যাপগুলির জন্য বেশকিছু নিয়মনীতি ধার্য করেছে গুগলের প্লে স্টোর। নতুন নীতি অনুযায়ী, নিয়মিত আর্থিক লেনদেন করে এমন সংস্থাগুলির অ্যাপকেই মান্য়তা দিয়েছে গুগল। ওই ধরনের সংস্থার অ্যাপ ও সংস্থার বিভিন্ন বিভাগীয় অ্যাপকেই গুগল প্লে স্টোরে লিস্টিং করা হয়েছে। এর বাইরের অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করেছে গুগল।
(আরও পড়ুন: গুগলই বলে দেবে ট্রেন কোথায় আছে! একগুচ্ছ সুবিধা পাবেন ২০২৪ সালের নয়া আপডেটে)
ভারতের সাইবার ক্রাইম কমিটিও সক্রিয়
ভারতের সাইবার ক্রাইম কমিটির কথাও এই প্রসঙ্গে উঠে আসে নির্মলার উত্তরে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে রয়েছে আইফোরসি বা ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন কমিটি (indian cyber crime coordination committee)। সেই কমিটি নিয়মিত এই ধরনের ভুয়ো বা প্রতারণার কারবারের উপর নজর রাখছে। পাশাপাশি এমন ধরনের অ্যাপের হদিশ পেলে সেগুলির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে। ওই উত্তর অনুযায়ী, ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল (national cyber crime reporting portal) ও ফোর সি টিম নিয়মিত এমন প্রতারণার অ্যাপগুলির রিভিউ করে। এবং সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট বিদ্যুৎ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকে পাঠানো হয়। সেখান থেকে অ্যাপগুলিকে ব্লক করে দেওয়া হয়।