সংকট ঘনাবার অনেক আগে থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সদর্থক পদক্ষেপ করেছিল ভারত। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এই দাবি করল দিল্লি।
শনিবার প্রকাশিত প্রেস বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) Covid-19 নিয়ে বিশ্বব্যাপী সতর্কতা জারি করার অনেক আগে থেকেই সীমান্ত এলাকায় নজরদাড়ি বাড়ানো হয়েছিল।
এ ছাড়া, সংক্রমণ রুখতে ভ্রমণের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে একাধিক দেশকে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া, ভিসা আটকানো ও ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়ার মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
আর্থিক সম্পন্ন বিদেশ ফেরত ভারতীয়দের ঠিকমতো স্ক্রিনিং ছাড়াই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, বিরোধীদের এই অভিযোগ এ দিন উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি। এই অভিযোগ হাস্যকর জানিয়ে প্রশানের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, গোড়া থেকেই বিদেশ থেকে আগতদের উপরে নজরদারি ও তাঁদের পরীক্ষা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে ভারত। সেই সঙ্গে বন্ধ করা হয় আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণও।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় ছাড়া বিদেশি পর্যটকদেরও কড়া স্ক্রিনিং পদ্ধতির অন্তর্গত করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির দিকে নজর ফেললে বোঝা যাবে Covid-19 এ ছারখার হয়ে যাওয়া ইতালি ও স্পেনে বিদেশ থেকে আগত পর্যটক ও দেশীয় নাগরিকদের যথাক্রমে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়ার ২৫ ও ৩৯ দিন পরে স্ক্রিনিং করা শুরু করেছিল।’
অন্য দিকে, ভারতে চিন ও হংকর ফেরত যাত্রীদের গত ১৮ জানুয়ারি থেকেই স্ক্রিনিং করা চালু হয়ে যায়।
বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের হার বাড়লে ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া করা হয় এবং আরও বেশি সংখ্যক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং চালু করা হয়। সরকারের দাবি, মোট ৩০টি বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্ক্রিনিং চালু হয় এবং সীমান্ত অঞ্চলে ৩৬ লাখেরও বেশি যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হয়। পরীক্ষায় সন্দেহভাজন যাত্রীদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে হাসপাতাল বা বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে প্রশাসন।