একদিন আগেই পৃথক রাজ্য খলিস্তানের স্বপক্ষে মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। সেই রেশ কাটার আগেই রবিবার অকাল তখতের ভারপ্রাপ্ত জাঠেদর (প্রধান) গিয়ানি হরপ্রীত সিং অভিযোগ করলেন, ১৯৮৪ সালে শিখদের অস্ত্র তুলে দিতে বাধ্য করেছিল ভারত সরকার।
'অপারেশন ব্লু স্টার'-এর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে একটি ওয়েব চ্যানেলের বার্তায় অকাল তখতের জাঠেদর বলেন, 'নিজেদের দাবি সরকারের কানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অস্ত্র তুলে নেওয়া শিখদের শেষ পথ ছিল।' ওই ওয়েব চ্যানেলটি অবশ্য রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ভারতে নিষিদ্ধ রয়েছে।
গিয়ানি বলেন, 'আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে যে কেন শিখরা অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে ভারত যখন স্বাধীনতা লাভ করেছিল, তখন দেশের নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে বিশ্বাস, ঐতিহ্য রক্ষার পাশাপাশি শিখদের প্রাপ্য সম্মান এবং অধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু তারপর সেইসব আশ্বাস পূরণের পরিবর্তে শিখদের অপরাধী সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্নিত করা হল।'
অকাল তখতের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের অভিযোগ, 'যেন এটা যথেষ্ট ছিল না, ১৯৫৫ সালে পুলিশ আধিকারিকদের জুতো পরে স্বর্ণ মন্দিরে ঢুকতে বাধ্য করা হয়েছিল। স্বাধীন ভারতে কোনও পবিত্র ধর্মস্থানকে অপবিত্র করার এটাই প্রথম ঘটনা ছিল। যা শিখদের ভাবাবেগে আঘাত করেছিল। নিয়ম লঙ্ঘন করে পঞ্জাবের নদীর জল অন্য রাজ্যকে দিয়েছিল রাজ্য। তা পঞ্জাবে শিখদের ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করেছিল এবং তাঁদের রাগিয়ে তুলেছিল। নিজেদের মাতৃভাষা রক্ষার স্বার্থে পঞ্জাবিভাষী একটি রাজ্য তৈরির জন্য লড়াইয়ের ডাক দিতে হয়েছিল। নিজেদের দাবি পূরণের জন্য দিল্লিতে বিক্ষোভের সময় অনেককে খুনও করা হয়েছিল। যখন সম্প্রদায়ের সদস্যরা অস্ত্রের মাধ্যমে সংগ্রামের পথে হেঁটেছিলেন, তখন তাঁদের দমিয়ে দিতে সরকার বাহিনী ব্যবহার করেছিল। সেই নির্মমতা ১৯৮৪ সালের পরেও জারি ছিল।'