বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > সরকারি অব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন, সংবাদপত্রকে শো-কজ চিঠি ত্রিপুরা সরকারের

সরকারি অব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন, সংবাদপত্রকে শো-কজ চিঠি ত্রিপুরা সরকারের

কিছু সংবাদপত্র মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের আমি, বিপ্লব দেব কখনও ক্ষমা করব না। শুক্রবার বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

Covid-19 মোকাবিলায় সরকারি অব্যবস্থা নিয়ে ভুয়ো খবর প্রকাশের অভিযোগে ‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকাকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল ত্রিপুরা সরকার। 

Covid-19 সংক্রান্ত ভুয়ো খবর প্রকাশের অভিযোগে ‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকাকে শো-কজ নোটিশ পাঠাল ত্রিপুরা সরকার। সোমবারের মধ্যে জবাব না দিলে সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় বিপ্লব কুমার দেবের সরকার।

ওই সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও ১৮৯৭ সালের মহামারী রোগ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সরকারি নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ভুয়ো সংবাদ প্রচারের অপরাধে এক বছরের কারাকণ্ড হতে পারে এবং মহামারী আইনে দোষী ব্যক্তিলবা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির ৬ মাসের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা একই সঙ্গে দুই শাস্তি হতে পারে। 

ত্রিপুরায় সরকারি হাসপাতাল ও সেবাসদনে কোভিড চিকিৎসার যে করুণ ছবি ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বর্ণনা করা হয়েছে এবং অতিমারী মোকাবিলা তহবিলের অর্থ তছরুপের অভিযোগ করা হয়েছে, সেই সঙ্গে যে সমস্ত ছবি ছাপানো হয়েছে তার সপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করতে প্রকাশক ও সম্পাদককে নির্দেশ দেয় আদালত। 

নোটিশের জবাবে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার তরফে বলা হয়, জনস্বার্থে সংবাদ পরিবেশন করে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করাই সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী করা ভুয়ো খবর প্রচারের অভিযোগ মিথ্যা। 

 প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ধলাই জেলার আমবাসা অঞ্চলের সাব্রুমে রাজ্যের প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ‘কিছু কিছু সংবাদপত্র অতি উত্তেজনাবশত মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না এবং আমি, বিপ্লব দেব তাদের কখনই ক্ষমা করব না। আমি যা বলি, তাই করি।’

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানানোর পরের দিনই আমবাসায় এক স্থানীয় সাংবাদিকের উপরে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তা তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানান ত্রিপুরার সাংবাদিকরা। প্রয়োজনে তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যপাল রমেশ কুমার বৈশ, প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট-সহ একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে চিঠি লিখবেন বলেও সাবধান করেছেন সাংবাদিকরা।

বন্ধ করুন