সোমবার থেকে চালু হতে চলেছে দেশের সমস্ত সরকারি দফতর। অধিকাংশ রাজ্যে একাধিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে কাজ চালু করার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় গ্রামীণ এলাকা ও অর্থনৈতিক এনক্লেভে থাকা বিভিন্ন বাণিজ্য ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষ কাজ চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এই নির্দেশিকা শুধুমাত্র হটস্পট চিহ্নিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকা অঞ্চলের জন্য বলবৎ হবে।
পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে সরকারি দফতরে সমস্ত নিম্ন স্তরের কর্মীকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রক ও তার অধীনে থাকা দফতরের কর্মীদের এক তৃতীয়াংশ রোটেশন পদ্ধতি অনুসারে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
সমস্ত সরকারি দফতরে থার্মাল স্ক্যানার ও স্যানিটাইজার আবশ্যিক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং মাস্ক ব্যবহার।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিউরাপ্পা জানিয়েছেন, রাজ্যে দু চাকার যান চলাচলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে আন্তরাজ্য এবং রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ থাকছে।
পঞ্জাব সরকারের তরফে মুখ্য সচিব কেশনি আনন্দ অরোরা জানিয়েছেন, ১২০ টির বেশি সংস্থাকে কাজ চালু করার জন্য ৪,০০০ ট্র্যানজিট পারমিট মঞ্জুর করা হয়েছে। হরিয়ানা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন কোনও রাজ্য সড়কে টোল কর আদায় করা হবে না। পণ্য চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ওই সমস্ত সড়কে খোলা রাখা হচ্ছে ফুয়েল স্টেশন, মোটর গ্যারেজ ও রেস্তোরাঁ।
জাতীয় সড়কের কোনও টোল প্লাজা থেকে টোল আদায় করা হবে না বলে জানিয়েছে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক।
বেশিরভাগ রাজ্যেই জনসমাবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে। তবে উত্তরাখণ্ড সরকার ৫ জনের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছাড় দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে মিষ্টির দোকান। যদিও অন্যান্য রাজ্যে শুধুমাত্র টেক আওয়ে বিপণী খোলা থাকছে।
কর্নাটক ও তেলাঙ্গনায় সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে চালু হচ্ছে সমস্ত প্রযুক্তি সংস্থার দফতর।
সমস্ত রাজ্যে নির্মাণকাজ চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত হিসেবে শ্রমিকদের নির্মাণস্থানেই বসবাসের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। ঠিকাদারদের বলা হয়েছে, শ্রমিকের অভাব দূর করতে হলে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ করতে।