বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন (FCRA) সংশোধন করতে রবিবার লোক সভায় নতুন বিল পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি কর্মীদের বিদেশি অনুদান নেওয়া বন্ধ করতেই আইন সংশোধনে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।
সরকারের মতে, প্রস্তাবিত সংস্কারের দ্বারা FCRA-এ উল্লিখিত ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে বিদেশি সূত্র থেকে অনুদান হিসেবে প্রতি বছরে পাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ও তা জনস্বার্থে ব্যয়ের বিষয়ে স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধির চেষ্টাই প্রধান উদ্দেশ্য।
সংশোধিত বিলে বিদেশি আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত এনজিও ও অন্যান্য সংস্থার সমস্ত কর্মীর ক্ষেত্রে আধার আবশ্যিক করার প্রস্তাব রয়েছে।
সেই সঙ্গে FCRA-র অধীনে অনুদানে পাওয়া বিদেশি অর্থ সাহায্য প্রশাসনিক কাজে খরচ করার পরিমাণ ৫০ শতাংশ থেকেকমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবিত বিলটি পাশ হলে ‘সামারি এনকোয়ারি’র আয়োজন করে আইন অমান্যকারীর বিদেশি সূত্রে প্রাপ্ত অর্থ খরচের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা পাবে সরকার।
শুধু তাই নয়, সংশোধন বিল পাশ হলে FCRA-এর ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও সংস্থা বিদেশি সূত্রে প্রাপ্ত অনুদানের অর্থ অন্য কোনও সংস্থা অথবা ব্যক্তি বিশেষের নামে ট্রান্সফারও করতে পারবে না।
বস্তুত, বিদেশি সূত্রে অনুদান গ্রহণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত করতেই FCRA প্রকরণ করা হয়েছিল। এই আইন অনুসারে, জনবিরোধী কাজে বিদেশি অর্থ অনুদান হিসেবে গ্রহণ অনুমোদিত হয় না। ২০১১ সালের ১ মে এই আইন বলবৎ হয়। ২০১৬ সালে আইনটি কেন্দ্রীয় অর্থ আইন মোতাবেক প্রথম বার সংশোধিত হয়। ২০১৮ সালে ফের অর্থ আইনের ২২০ ধারা অনুসারে আইনটি সংশোধন করা হয়।