ধ্রুপদী ভারতীয় ভাষা হিসেবে সংস্কৃতের প্রসারে গত তিন বছরে মোট ৬৪৩.৮৪ কোটি টাকা খরচ করেছে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার।
তুলনায়, অন্য ৫ ধ্রুপদী ভাষা তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম ও ওডিয়ার প্রসারে সরকারি খাতে সম্মিলিত খরচের পরিমাণ ২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে মালয়ালম ও ওডিয়ার জন্য কোনও পৃথক তহবিল তৈরি করেনি সরকার। এই দুই ধ্রুপদী ভাষার জন্য গঠন করা হয়নি সরকারি কেন্দ্রও।
চলতি মাসের গোড়ায় লোক সভায় শিব সেনা সাংসদ ধৈর্যশীল শম্ভাজিরাও মানে, হেমন্ত শ্রীরাম পাটিল ও শ্রীকান্ত একনাথ শিন্ডে এবং বিজেপির সুজয় ভিখে পাটিল ও রঞ্জিত্সিংহ হিন্দুরাও নায়েক নিম্ভলকরের সম্মিলিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক এই পরিসংখ্যান পেশ করেছে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংস্কৃত ভাষা প্রসারের উদ্দেশে দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্থান গঠন করে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। এই প্রকল্প গড়ে তোলার জন্য সংস্থানকে গত ৩ বছরে ৬৪৩.৮৪ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
একই ভাবে, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে চেন্নাইয়ে তৈরি করা হয় সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ক্লাসিক্যাল তামিল (সিআইসিটি)। তামিল ভাষা প্রসারের জন্য এই প্রকল্পে গত তিন বছরে মোট ২২.৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তেলুগু ও কন্নড়ের প্রসারের উদ্দেশে মাইসুরুর সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গোয়েজেস(সিআইআইএল)-এর ভিতরে সেন্টার্স অফ এক্সেলেন্স গড়ে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। পরে তেলুগুর জন্য নির্দিশ্ট দফতরটি অন্ধ্র প্রদেশে স্থানান্তরিত হয়। এই দুই ধ্রূপদী ভাষা প্রসারে তিন বছরে বরাদ্দ হয়েছে ভাষাপিছু ৩.০৬ কোটি টাকা।
ওডিয়া ও মালয়ালমের জন্যও এবার ভাষা উত্কর্ষ কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা নিয়ে ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রসঙ্গত, ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে প্রতি রাজ্যই একাধিক ভাষাকে তালিকাভুক্ত করার দাবিতে এর আগে সরব হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মরাঠি ভাষার জন্য মহারাষ্ট্রের সাংসদদের দাবিগুচ্ছ।এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে ২০১৪ সালে রাজ্য সভায় জানানো হয়েছে, ১,৫০০ থেকে ২,০০০ বছরের প্রাচীনত্বের প্রমাণ রয়েছে, এমন ভাষাকেই ধ্রুপদী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।