১৪ তারিখ থেকে চালু হচ্ছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন। কোভিডের মধ্যে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশেষ সতর্কতা নিচ্ছে কেন্দ্র। সেই মোতাবেক যাতে কম সংখ্যক লোকজনকে উপস্থিত থাকতে হয়, তার জন্য এবার প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না। এই কথা বিরোধী নেতাদের ফোন করে জানিয়েছেন রাজনাথ সিং।
জানা গিয়েছে রাজনাথ, যাঁর সঙ্গে সব দলের নেতাদের সুসম্পর্ক আছে, তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এই কথা বিরোধীদের জানানোর ও কেন এবার প্রশ্নোত্তর পর্ব করা যাবে না, সেটি বুঝিয়ে বলার। সেই মোতাবেক রাজনাথ কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ ও অধীর চোধুরী, তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন সহ অন্যান্যদের ফোন করেছিলেন।
অধীর চৌধুরী স্বীকার করেছেন যে তাঁকে রাজনাথ ফোন করেছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান যে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকলে অধিবেশনে অনেক অফিসারদের উপস্থিত থাকতে হবে যারা মন্ত্রীদের পরামর্শ দেন কি উত্তর দিতে হবে সেই নিয়ে। তবে জিরো হাওয়ার চলবে, প্রশ্নোত্তর পর্ব না হলেও এই আশ্বাস দিয়েছেন রাজনাথ।
সাধারণত, দিনের শুরুর প্রথম ঘণ্টাটি প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকে, যেখানে নোটিস দিয়ে ১০ দিন আগে প্রশ্ন করা যায়। সেই প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রীরা। এরপর থাকে জিরো হাওয়ার, যেখানে যে কোনও জরুরি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন সাংসদরা।
প্রশ্নোত্তর পর্ব যাতে না উঠিয়ে দেওয়া হয়, সেই জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠিও লিখেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন যে এখানে দেশ ও দশের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাই এই সুযোগ না থাকা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
সরকারের যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূলের ডেরেক। তাঁর দাবি যে ভার্চুয়াল ভাবেও ব্রিফিং করা যায় মন্ত্রীদের। এর জন্য অফিসারদের আসার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন প্রশ্নোত্তর পর্ব হল বিরোধীদের কাছে সুযোগ মন্ত্রীদের থেকে কৈফিয়ত চাওয়ার। তিনি বলেন যে এটি সংসদ নয়, M and S Private Limited. ইঙ্গিতটি যে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের প্রতি, তা বলাই বাহুল্য়। অন্যদিকে গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে অনেক বার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয় হিন্দুস্তান টাইমস।