এত বড় কৃষক আন্দোলন এর আগে দেশে হয়নি। এই কৃষক আন্দোলেন ইতিমধ্য়ে ৬০০ জন আন্দোলনকারী মৃত্যু হয়েছে। রবিবার এভাবেই কার্যত দিল্লিতে মাসের পর মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। তিনি বলেন, কৃষক আন্দোলনে ৬০০জন শহিদ হয়েছেন। যদি একটি কুকুর মারা যায় তবে দিল্লির নেতারা শোকবার্তা জানান। ৬০০জন কৃষক শহিদ হলেন। কোনও নেতা একটা কথাও বললেন না। আমি এতে আহত হয়েছি। জয়পুরের বিড়লা আকাদেমিতে তেজা ফাউন্ডেশনের একটি প্রোগ্রামে মেঘালয়ের রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্রতে ৫-৭জন মানুষ আগুনে মারা গিয়েছিলেন। দিল্লি থেকে সেজন্য শোকবার্তা চলে এল। কিন্তু ৬০০জন কৃষক শহিদ হলেন অথচ কারোর কোনও কথা নেই। এমনকী আমাদের শ্রেণির মধ্যে থেকেও পার্লামেন্টে কেউ কিছু বললেন না। এটা আমাকে খুব আহত করেছে। জানিয়েছেন মেঘালয়ের রাজ্য়পাল।
রাজ্যপাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও এনিয়ে দেখা করেছিলাম। আমি বলেছি দুটি বিষয় কখনও করবেন না। তাদের উপর বলপ্রয়োগ করবেন না। তাঁদেরকে খালি হাতে ফেরাবেন না। এদিক এর সঙ্গেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন এই রাজ্যপালের দাবি, এই কৃষক আন্দোলনের প্রভাব সেনাদের মধ্যেও পড়ছে। যেকোনও কিছু হয়ে যেতে পারে। আজ আপনি ক্ষমতায় আছেন, কিন্তু জানেন না এর প্রভাব কী হতে পারে। যদি যুদ্ধ লাগে তবে এই কৃষকদের সন্তানদেরই পাঠাতে হবে। আমি চাইনা এরকম কোনও দিন আসুক যেদিন কৃষকরাই এভাবে প্রতিক্রিয়া দেবে। তবে কৃষকরা আজ পর্যন্ত একটি ঢিল পর্যন্ত ছোঁড়েননি। এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পর কৃষকদেরই অধিকার আছে লাল কেল্লায় পতাকা তোলার। এদিকে রাজ্যপালের বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যপালের কিছু বলার থাকলে তিনি রাষ্ট্রপতিকে বলতে পারেন।