দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল কিছু হিন্দু সংগঠনের। অবশেষে মাংস রফতানির ম্যানুয়াল থেকে হালাল শব্দটি বাদ দিল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা। হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি ছিল যে হালাল মাংসই চাই, এই কথা বলায় অন্যায্য সুবিধা পেয়ে যাচ্ছিল মুসলমান সংগঠনগুলি। সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের Agricultural and Processed Food Products Export Development Authority (APEDA).
অনেক ইসলামিক দেশে শুধু হালাল সার্টিফায়েড মাংসই আমদানি করে। বিশেষ ভাবে জবাই করার পদ্ধতি মানলে তবেই এই সংশাপত্র পাওয়া যায়। বাণিজ্য মন্ত্রকের আওতায় পড়ে APEDA. আগে তাদের নিয়মে বলা ছিল যে প্রাণীদের হালাল পদ্ধতিতে জবাই করা হয়েছে ইসলামিক দেশগুলির প্রয়োজন অনুযায়ী। এখন তার জায়গায় লেখা আছে যে দেশ আমদানি করছে, তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রাণীদের জবাই করা হয়েছে।
হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি ছিল যে ভারত তো ইসলামিক দেশ ছাড়াও অন্য জায়গাতেও মাংস রফতানি করে। সেখানে কেন হালাল সংশাপত্র পাওয়া মাংস পাঠাতে হবে। এই সিদ্ধান্তের পর নিজেদের জয়ের দাবি করেছে হালাল নিয়ন্ত্রণ মঞ্চ বলে একটি গোষ্ঠী। তাদের দাবি যে পূর্বতন কংগ্রেস সরকার শুধু হালাল মাংস রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর ফলে হিন্দু, শিখদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। চিনের মতো দেশে হালাল সার্টিফিকেট লাগে না, তাই এই নয়া সিদ্ধান্তে এখানকার জন্য কার্যকরী হবে বলে সংগঠনের দাবি।
তবে দিল্লির এক মাংস রফতানিকারকের দাবি যে সরকার মাংসের সার্টিফিকেট করে না। এটা করা হয় যে দেশ নিচ্ছে, তার চাহিদা অনুযায়ী। তাই এই সিদ্ধান্তের বাস্তবে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই তিনি জানান।