নগদে যে কোনও মূল্যের সোনা, রুপো বা রত্ন কিনতে কি কেওয়াইসি লাগবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। বিভ্রান্তি দূর করতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, নগদ দু'লাখ টাকার নীচে সোনা, রুপো বা রত্ন কেনার জন্য আধার কার্ড বা প্যান কার্ডের মতো কোনও কেওয়াইসি লাগবে না।
সূত্র উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান এবং আর্থিক তছরুপ রুখতে বিশ্বব্যাপী একটি মাপকাঠি তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। সেই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী, নগদে ১০ লাখ টাকার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে কেওয়াইসি এবং ‘কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স’ (গ্রাহকদের সংক্রান্ত তথ্য) লাগবে।
সূত্রের খবর, সোনা, রুপো বা রত্নের মতো দামী প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন যে সুপারিশ করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ‘কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স’। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সীমার উপর লেনদেনের (১৫,০০০ মার্কিন ডলার বা ইউরো) জন্য গ্রাহকদের ‘কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স’ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ২০১০ সাল থেকেই এফএটিএফের সদস্য ভারত।
তবে নগদ দু'লাখ টাকার নীচে সোনা, রুপো বা রত্ন কিনতে কেওয়াইসি লাগবে বলে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্ররা বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যমের একটি অংশে ছড়াচ্ছিল যে দু'লাখ টাকার নীচে হলেও নগদে সোনা, রুপো বা রত্ন কেনার ক্ষেত্রে কেওয়াইসি লাগবে। কিন্তু তা ভিত্তিহীন।’ তাঁরাও জানিয়েছেন, আয়কর আইনের ২৬৯এসটি ধারায় আওতায় ভারতে যেহেতু নগদ দু'লাখ টাকার লেনদেন করার অনুমতি নেই, তাই আইন মোতাবেক যে ডিলাররা দু'লাখ টাকার কম পাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।