অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বা আন্তর্জাতির বিষয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের সংখ্যা কমেছে সাম্প্রতিক কালে। এমনটাই জানাচ্ছে সরকারি তথ্য। কয়েকদিন আগে কাশ্মীর বিষয়ক সর্বদল বৈঠক হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। এরপর কোভিড নিয়েও একটি সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাতে অংশ নেয়নি কংগ্রেস। তবে লাদাখ থেকে পেগাসাস, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেভাবে আর সর্বদল বৈঠক ডাকা হয় না। দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিককালের অধিকাংশ সর্বদল বৈঠকের মূল ফোকাসে রয়েছে সংসদীয় বিষয়ক কোনও আলোচনা।
এর আগে অটল বা মনমোহন জমানায় সর্বদল বৈঠকের নেতৃত্বে থাকতেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী। তবে মোদী জমানায় বদলে গিয়েছে বিষয়টি। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বেই বেশিরভাগ সর্বদল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সাম্প্রতিককালে। বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ও ছিল সংসদের চালনা। সেখানে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত অটল জমানায় মোট ৩১টি সর্বদল বৈঠক হয়েছিল। সেই সংখ্যা মোদী জমানায় এখনও পর্যন্ত ২৬। তবে মনমোহনের ১০ বছর শাসনকালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭। মোদী জমানায় গত ৭ বছরে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে শুধুমাত্র সংসদের অধিবেশনের আগে। সংসদ সচল রাখা নিয়ে আলোচনা করতেই প্রতিবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মোদী জমানার ২৬টি বৈঠকের মধ্যে ৩টি করোনা বিষয়ক ছিল। ২০২০ সালের পর থেকে এই তিন বৈঠকের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর আগে ২০১৬ সালে একটি বৈঠকের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই বৈঠকটি ছিল কাশ্মীর বিষয়ক। বাকি ২২টি বৈঠকই সংসদীয় বিষয়ক আলোচনার জন্যে ডাকা হয়েছিল। অপরদিকে অটল জমানায় ৩১টি বৈঠকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজে ২৩টিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বিভিন্ন বিল নিয়ে আলোচনা করতেও সর্বদল বৈঠক ডাকার নজির রয়েছে বাজপেয়ীর।