ইউটিউবার, ওয়েডিং ফটোগ্রাফার থেকে কৃষি গবেষক। কাজে আলাদা মাত্রা আনতে অনেকেই এখন ড্রোনে ভিডিয়ো, ছবি তুলছেন। ডেলিভারির কাজেও ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এই ড্রোন নিয়েই রয়েছে একগুচ্ছ কড়া নিয়ম-নীতি। এবার তারই রাশ একটু আলগা করল কেন্দ্র। নতুন জাতীয় নীতিতে ব্যক্তি এবং সংস্থাগত মালিকানাধীন ড্রোন চালানো আগের তুলনায় অনেক বেশি সহজতর হবে।
এর আগেই অবশ্য মার্চ মাসে এই নিয়মের প্রথম সংস্করণ ঘোষিত হয়। এর আগে ড্রোন রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্সের আবেদন করার আগে ড্রোন অপারেটরের সিকিউরিটি ছাড়পত্র নিতে হত। সেই নিয়ম তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও, ভারতে রেজিস্টার্ড বিদেশি সংস্থাগুলিকে ড্রোন এবং তার যন্ত্রাংশ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। জানানো হয় যে এটি বিদেশি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রক দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
ড্রোন বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী ড্রোনে গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ (R&D) করার জন্য সংস্থাগুলির জন্য 'এয়ারওয়ার্দিনেস সার্টিফিকেট', আইডি নম্বর, পূর্ব অনুমতি এবং রিমোট পাইলট লাইসেন্স রাখার নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। ফলে এখন ড্রোন কিনতে গিয়ে নিয়মের ভয়ে পিছিয়ে আসতে হবে না সিনেমাটোগ্রাফার বা ফটোগ্রাফারদের।
তবে শুধু যে ফটোগ্রাফাররাই ছবি তুলতে ড্রোন ব্যবহার করেন, এমনটা নয়। নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ, কৃষি, পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণা, নির্মাণ প্রকল্পের মাপ-ঝোঁক এমনকি দূর্গম স্থানে দ্রুত খাবার, ওষুধ ডেলিভারির জন্যও ড্রোন নিয়ে কাজ হচ্ছে। চলতি মাসেই এমন কাজ করা মোট ১০টি সংস্থাকে এক বছরের জন্য বিশেষ অনুমোদন দেয় কেন্দ্র।