অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট এলসিএ এমকে ২ নির্মাণের জন্য সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এই সমারস্ত্রের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আকাশপথের যুদ্ধে ভারত আরও পোক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নতুন প্রজেক্টের জন্য সরকার ১০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ করেছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এলসিএ এমকে২ তার প্রথম উড়ান আগামী ২ বছরের মধ্যেই নিয়ে নেবে। যার হাত ধরে এই বিমান তৈরির অগ্রগতি দেখা যাব দেশে। ফলে ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের বুকে এই যুদ্ধ বিমান নির্মাণের একটি মাইলস্টোন পার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ আগেই জানিয়েছিল যে এই যুদ্ধাস্ত্রের নির্মাণের ছাড়পত্র তৈরি হচ্ছে। আর তা খুব শিগগিরিই আসতে চলেছে। উল্লেখ্য, দেশের মাটিতে সমরাস্ত্র তৈরিতে 'আত্মনির্ভর ভরত' এর আওতায় এই পদক্ষেপ একটি বড় ঘটনা। আশা করা হচ্ছে, ভারতীয় বায়ুসেনার আগামী দিনের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে এই বিমান। উল্লেখ্য, এলসিএর আরও এক ভ্যারিয়েন্ট নির্মাণও ছাড়পত্র পেয়েছে। তেল চুপচুপে ছাড়া তরকারি মুখে রোচে না? সুস্বাদু রান্নায় তেল কমানোর টিপস
প্রসঙ্গত, এই এমকে২ ফাইটার হচ্ছে নিউ জেনারেশন এয়ারক্রাফ্ট। ভারতের 'এরোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি' এই যুদ্ধ বিমান নির্মাণ করেছে। এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে বহু ধরনের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। এতে বহু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্র থাকার সুবিধা থাকবে। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন এয়ার মার্শাল অনিল চোপড়া বলছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধাস্ত্রের শক্তিতে যে ফাঁক ফোঁকড় থেকে গিয়েছে তা এই অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র পূরণ করতে পারবে। ২০২১ সালে ৪৮ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তি 'হিন্দুস্তান এরোনোটিক্যাল লিমিটেড' এর সঙ্গে করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই চুক্তির আওতায় দেশের মাটিতে নির্মিত প্রথম ব্যাচের এয়ারক্রাফ্ট আসছে ২০২৪ সালে। তারমধ্যে ১২৩ টি এলসিএ ফাইটার রয়েছে। প্রথম ২০ টি প্রাথমিক অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষায়।