করোনা আবহে অক্সিজেনের অভাবে দিল্লিতে প্রাণ হারাচ্ছে প্রচুর রোগী। এই আবহে কেন্দ্র ও রাজ্যের উপর চাপ বাড়ছে। দিল্লির হাসপাতালগুলি প্রতিদিনই কাতর আবেদন জানাচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য। এই আবহেই এনসিআর গুরুগ্রামে অবস্থিত মেদান্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডঃ নরেশ ত্রেহান দাবি করেন আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যেই অক্সিজেনের ঘাটতি মিটে যেতে পারে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার অক্সিজেনের আমদানির উপর শুল্ক উঠিয়ে দেয়। পাশাপাশি এদিনই প্রধানমন্ত্রী টুইট করে ঘোষণা করে জানান, প্রতিটি জেলায় জেলায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হবে। এই আবহে অক্সিজেনের ঘাটতি আগামী ৫-৬ দিনেই মিটে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করলেন রাজধানীর মেদান্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান।
দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রন্তের সংখ্যা। সঙ্গে অক্সিজেনের অভাব বাড়ছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য়ে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে একাধিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কাছে অক্সিজেন প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের অভাব মেটাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং সেই পদক্ষেপে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন মেদান্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান।
এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর উদ্যোগে দিল্লি এইমস-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া, মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডঃ নবনীত উইগ, সাধারণ স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর ডঃ সুনীল কুমার এবং মেদান্ত হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডঃ নরেশ ত্রেহান একটি অনলাইন আলোচনা সভায় যোগ দেন।
আলোচনা সভায় ডঃ নরেশ ত্রেহান পরামর্শ দেন, 'যদি কোনও রোগীর আরটি-পিসিআর টেস্ট পজিটিভ আসে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার পারিবারিক চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। এখন সব ডাক্তাররাই করোনা প্রোটোকল সম্পর্কে অবগত। সেই অনুযায়ী তিনি চিকিত্সা চালিয়ে যেতে পারবেন। ৯০ শতাংশ রোগী বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।'
এদিকে এদিন আলোচনা চলাকালীন রেমডিসিভির এবং অক্সিজেনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা নিয়ে মুখ খোলেন এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, 'রেমডেসিভির কোনও ম্যাজিক বুলেট নয়। যে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি এবং গুরুতর বা মাঝারি অসুস্থ এবং সেই রোগীর অক্সিজেন লেভেল ৯৩-এর নিচে, শুধু তাদেরকেই রেমডেসিভির এবং অক্সিজেন দেওয়া হয়। তাই আমার আবেদন, অযথা অক্সিজেন এবং রেমডেসিভির অপচয় করবেন না। অধিকাংশ রোগী বাড়িতে আসোলেশনে থেকেই সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।'