একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, এবার সংসদে ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন বিল আনা হতে পারে।
এই বিলের মাধ্যমে মূলত এক দেশ-এক ভোট এই বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে ভোটের সময়, টাকাপয়সা সহ বহু ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে একাধিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই রামনাথ কোবিন্দের কমিটি যে সুপারিশ করেছিল সেটাকে অনুমোদন দিয়েছে।
তবে সরকারি পক্ষের তরফে বার বার বলা হয়েছে ভোটের আগে আদর্শ আচরণ বিধির জেরে অনেকদিন ধরে উন্নয়ন থমকে থাকে। তবে রামনাথ কোবিন্দের কমিটি যে সুপারিশ করেছিল সেখানে মূলত ২০২৯ সালের পরে এই নয়া সিস্টেম লাগু করা যেতে পারে বলে অভিমত দেওয়া হয়েছিল।
সরকার আপাতত চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে এই এক দেশ এক ভোট বিলটা পাস করার পাশাপাশি জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির কাছে বিষয়টি জানানো যায়। এই জেপিসি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা,রাজ্য বিধানসভার স্পিকাররা থাকতে পারেন। সাধারণ মানুষের মতামতাও নেওয়া হতে পারে।
এদিকে মিডিয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছে এনডিএর বর্তমানে লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে কিছুটা সমস্যাও রয়েছে। কারণ রাজ্যসভায় এনডিএর রয়েছে ১১২টি আসন। কিন্তু দুই তৃতীয়াংশ সংখ্য়াগরিষ্ঠতার জন্য ১৬৪টি আসন দরকার। সেরকমভাবেই লোকসভায় সব মিলিয়ে দরকার ৩৬৪। কিন্তু এনডিএ জোটের হাতে রয়েছে ২৯২। তবে সরকারও এনিয়ে বিশেষ কৌশল নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।এক্ষেত্রে যে সমস্ত এমপিরা কোনও পক্ষের নন তাঁদের কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া হতে পারে।
তবে বিরোধীদের তরফে বার বারই এনিয়ে নানা আপত্তি তোলা হয়েছে। কারণ বিরোধীদের একাংশের মতে, এই ধরনের ব্যবস্থা পুরো অবাস্তব। অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাত আসতে পারে। এনিয়ে একাধিক সমালোচনার কথা উল্লেখ করেছেন বিরোধীরা।
এর আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল তারা এই নীতির বিরোধিতা করছেন। কারণ আসলে এই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশনের মাধ্য়মে ভারতে একনায়কতন্ত্র চালানোর চেষ্টা করা হবে। এমপি কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সেই সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ধরা যাক একটা রাজ্য সরকার পড়ে গেল। বিভিন্ন জায়গায় এটা হয়। সেখানে কীভাবে সরকার চলবে নাকি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে? এক্ষেত্রে মানুষের মতামত আর থাকবে না। এনিয়ে আপত্তি তুলেছিল সিপিএমও। সেক্ষেত্রে এবার তাদের কী অবস্থান হয় সেটাও দেখার।